কুনো ন্যাশানাল পার্ক থেকে বেরিয়ে লোকালয়ে ঢুকে পড়ল চিতা। নামিবিয়া থেকে চিতার দলকে আনা হয়েছে মধ্য়প্রদেশের কুনো অভয়ারণ্যে। সূত্রের খবর, ওই চিতার নাম ওভান। সেটা পুরুষ চিতা। কোনওভাবে সেটি অভয়ারণ্য থেকে পালিয়ে যায়। এরপর সেটি লোকালয়ে চলে যায়। এদিকে ওই চিতাটি যাতে কারোর প্রাণহানি না করে সেটাও দেখা হচ্ছে. অন্যদিকে চিতার যাতে কোনও ক্ষতি না হয় সেটাও দেখা বনদফতরের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ।
ওই চিতাটিকে সম্প্রতি কুনো অভয়ারণ্য়ে ছাড়া হয়েছিল। সেটি নিজের ছন্দেই জঙ্গলে ছিল। তার গলায় রেডিও কলারও রয়েছে। তার মাধ্যমেই চিতার গতিবিধির উপর নজর রাখা হচ্ছে। আচমকাই সেটা লোকালয়ে ঢুকে পড়ে। বনদফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, গোলিপুরা ও ঝার বারোদা গ্রামে ঢুকে পড়ে চিতাটি। কুনো ন্যাশানাল পার্কের কাছেই রয়েছে গ্রামটি। সেখানেই কোনওভাবে ঢুকে পড়ে চিতাটি। তবে খবর পাওয়ার পরেই সতর্ক হয়ে যায় বনদফতর।
স্থানীয় এক বাসিন্দা চিতাটিকে দেখতে পান। এরপর তিনি সকলকে জানান। এদিকে আফ্রিকান চিতাটিকে এভাবে লোকালয়ে ঘুরতে দেখে আতঙ্ক ছড়ায় এলাকায়। তবে চিতাটির যেন কোনও ক্ষতি না হয় সেটা অত্য়ন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে।
যে কোনো মূল্যে ওভানকে এখন নিরাপদে জঙ্গলে ফিরিয়ে আনাই বনদফতরের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ।
এদিকে আফ্রিকা থেকে চিতা আনা হয়েছিল মধ্য়প্রদেশে। সম্প্রতি মধ্যপ্রদেশের কুনো অভয়ারণ্যে ছাড়া হয়েছে নামিবিয়ার চিতাদের। আর তাদের খাবার নিয়েও সম্প্রতি বিতর্ক দানা বেঁধেছিল। তারাই যাতে শিকার করতে পারে সেজন্য় হরিণের দলকে পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল বলে খবর। এদিকে এই খবরকে কেন্দ্র করে তুমুল বিতর্ক দানা বাঁধে। কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে আসা কুলদীপ বিষ্ণোই এনিয়ে আপত্তি জানিয়েছিলেন। তাঁর মতে এই ঘটনায় বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের ভাবাবেগে আঘাত লেগেছে। এই পদক্ষেপ ইতিমধ্যেই বন্ধ করার জন্য দাবি করা করেছেন তিনি।
সোমবার কুলদীপ বিষ্ণোই টুইট করে জানিয়েছিলেন, খবর পাচ্ছি যে চিতল ও হরিণ ছাড়া হচ্ছে চিতার খাবারের জন্য। এটা নিঃসন্দেহে নিন্দাজনক। কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে অনুরোধ করছি হরিণের সুরক্ষার জন্য ও বিষ্ণোই সমাজের স্বার্থে পদক্ষেপ নিন। অবিলম্বে এই উদ্যোগ বন্ধ রাখার জন্য আবেদন করেন তিনি।
এদিকে বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের হরিণের প্রতি একটি বিশেষ ধর্মীয় আবেগ রয়েছে। রাজস্থানের বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের লোকজন ইতিমধ্যে কেন্দ্রের এই উদ্যোগের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা শুরু করেছেন।