খ্রিস্টানদের পুস্তিকা পোড়ানোর অভিযোগ উঠল ডানপন্থী সংগঠনের বিরুদ্ধে। একটি চার্চের ‘ফাদার’-কে চপার হাতে অনুসরণ করারও অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি কর্নাটকের কোলার জেলার শ্রীনিবাসপুরের।
পুলিশ জানিয়েছে, গত শনিবার বাড়ি বাড়ি গিয়ে ধর্মীয় কোনও পুস্তিকা বণ্টন করছিলেন খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষরা। তা নিয়ে সরব হন ডানপন্থী সংগঠনের সদস্যরা। খ্রিস্টানদের বিলি করা সেই পুস্তিকা পুড়িয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষরা ধর্মান্তকরণ করছিলেন বলে অভিযোগ তোলা হয়। নাম গোপন রাখার শর্তে এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, ‘যাঁরা ঘরে ঘরে যাচ্ছিলেন এবং পুস্তিকা দিচ্ছিলেন, তাঁদের নিয়ে আপত্তি তোলেন শ্রীনিবাসপুরের কয়েকজন মানুষ। তবে সেই পুস্তিকা ক্রিসমাসের শুভেচ্ছাবার্তার কার্ড বলে মনে করা হচ্ছে।' সেইসঙ্গে জানিয়েছেন, যে পুস্তিকা পোড়ানো হয়েছে, সেই তালিকায় বাইবেল নেই।
তারইমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়ে যায়। দাবি করা হয়, বক্সাইট রোডের একটি চার্চে ঢুকে পড়েন এক ব্যক্তি। চপার হাতে ফাদার ফ্রান্সিস ডি'সুজাকে অনুসরণ করন। কিছুক্ষণ অনুসরণের পর ওই ব্যক্তি চলে যান। কী কারণে ওই ব্যক্তি চার্চে ঢুকেছিলেন, তা স্পষ্ট নয়। তবে প্রাথমিকভাবে একটি মহলের ধারণা, সম্ভবত পালটা হামলার আশঙ্কায় ওই ব্যক্তি চার্চ ছেড়ে চলে যান। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনায় কোনও পক্ষই এখনও অভিযোগ দায়ের করেনি। তবে ভাইরাল ভিডিয়োর প্রসঙ্গে পুলিশকে জানানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে বলে ওই মহলের তরফে দাবি করা হয়েছে।
শ্রীনিবাসপুরের সেই ঘটনার পরদিনই কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই ইঙ্গিত দেন যে বিধানসভায় ধর্মান্তকরণ-বিরোধী আইন বিল আনা হবে। যা আজ থেকে শুরু হওয়া শীতকালীন অধিবেশনে পেশ করা হতে পারে। হুব্বালিতে তিনি বলেন, ‘বেশিরভাগ মানুষ ধর্মান্তকরণের উপর নিষেধাজ্ঞা চাপানোর দাবি তুলেছেন। আইন দফতর (খসড়া বিল) খতিয়ে দেখছেন। পর্যালোচনার পর সেই বিল মন্ত্রিসভার বৈঠকে পাশ করানো হবে।’