বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > বরিশাল জেলা পরিষদ নির্বাচনে ছাত্রলীগ নেতার ইভিএমে কারচুপির অভিযোগ

বরিশাল জেলা পরিষদ নির্বাচনে ছাত্রলীগ নেতার ইভিএমে কারচুপির অভিযোগ

ছাত্রলীগ নেতার ইভিএমে কারচুপির অভিযোগ। ছবি সৌজন্যে ডয়চে ভেলে 

ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক এ সদস্য বুধবার সকালে এ আবেদন করেন৷ লিখিত অভিযোগে মুন্না বলেন, তিনি ব্যাট প্রতীকে নির্বাচন করেছেন৷ ভোট গণনা শুরুর পর তার এজেন্টকে বের করে দেওয়া হয়৷

সদস্য প্রার্থী এক ছাত্রলীগ নেতা বরিশাল জেলা পরিষদ নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে কারসাজির অভিযোগ তুলে বলেছেন, কারসাজি না করলে ফলাফল এভাবে পরিবর্তন হয় না৷ এক্ষেত্রে মোটা অংকের টাকার লেনদেন হয়েছে৷

এ অভিযোগে নতুন করে ভোট গণনার দাবি জানিয়ে বরিশাল জেলা প্রশাসক ও জেলা রির্টানিং কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন হায়দার বরাবর আবেদনও করেছেন বাকেরগঞ্জের সদস্য প্রার্থী ও বরিশাল সরকারি ব্রজ‌মোহন ক‌লেজ ছাত্র সংসদের ক্রীড়া সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ মুন্না৷

ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক এ সদস্য বুধবার সকালে এ আবেদন করেন৷ লিখিত অভিযোগে মুন্না বলেন, তিনি ব্যাট প্রতীকে নির্বাচন করেছেন৷ ভোট গণনা শুরুর পর তার এজেন্টকে বের করে দেওয়া হয়৷ পরে একটি অদৃশ্য কারণে ইভিএম মেশিন আপডেটের কারণ দেখিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়৷ পরে আবার তারা ভোট গণনা শুরু করেন তার এজেন্টকে না ডেকেই৷

মুন্না লিখেছেন, ‘আমি ভোট গণনার সময় প্রবেশ করতে চাইলেও আমাকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি৷ পাশাপাশি ভোটার ফলাফলের শিটে সময় ২টা ১৫ মিনিট উল্লেখ করা হলেও ফলাফল ঘোষণা করা হয় ২টা ৪০ মিনিটে; যার তথ্য সিসিটিভির ফুটেজ পর্যালোচনা করলেই পাওয়া যাবে৷ ২টার পর থেকে ২টা ৪০ মিনিটের মধ্যে ইভিএম এ কারসাজি করে ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে৷ আমি পুনরায় ভোট গণনার দাবি জানাচ্ছি৷'

ডয়চে ভেলের কনটেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে মুন্না বলেন, ‘ভোট গণনার মাঝ পথে আমাকে জানানো হয় আমি ৭৬ ভোট পেয়েছি৷ এরপর হঠাৎ করে জানানো হয় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এসে ফলাফল ঘোষণা করবেন, তাই গণনা বন্ধ রাখা হয়েছে৷ কিছু সময় পর ফলাফল ঘোষণা করে বলা হয়, আমি মাত্র ১৫ ভোট পেয়েছি৷'

কারসাজি না করলে ফলাফল এভাবে পরিবর্তন হয় না বলে দাবি করেন মুন্না বলেন, ‘এক্ষেত্রে মোটা অংকের টাকার লেনদেন হয়েছে৷ দলের কথা চিন্তা করে দুইদিন চুপ ছিলাম কিন্তু আর না পেরে বুধবার রিটানিং কর্মকর্তা বরিশাল জেলা প্রশাসকের কাছে ওই আবেদন করেছি৷'

মুন্না আরও বলেন, অন্যান্য প্রার্থীরাও অভিযোগ দিবে৷ তারা না দিলেও কোনও সমস্যা নেই৷ তিনি যে অভিযোগ দিয়েছেন, তার কোনও সমাধান না পেলে আদালতের শরণাপন্ন হবেন; মামলা করবেন৷ এ বিষয়ে বরিশালের জ্যেষ্ঠ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রির্টানিং কর্মকর্তা নুরুল আলম সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে৷ এখন রির্টানিং কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করে কোনো লাভ নেই৷ জেলা জজকে প্রধান করে গঠিত নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে আপিল করতে হবে৷

বন্ধ করুন