আগেই হাতছাড়া হয়েছিল কর্নাটক। এবার দক্ষিণের যে একটি স্থানে ক্ষমতায় ছিল কংগ্রেস, সেটাও গেল। কেন্দ্রীয় শাসিত পুদুচেরিতে সোমবার আস্থা ভোটে পরাজিত হয় শাসক কংগ্রেস। তারপরই ইস্তফা দেন মুখ্যমন্ত্রী নারায়ণস্বামী। অন্তর্দ্বন্দ্বের জেরে আরেকটা সরকার পড়ে যাওয়ার পর উদ্বেগের ছায়া শতাব্দী প্রাচীন দলের অলিন্দে। অন্যদিকে স্বভাবতই খুশি বিজেপি। কিন্তু সামনেই নির্বাচন, তাই এখন আর সরকার গড়ার চেষ্টা করছে না গেরুয়া শিবির।
কংগ্রেস সূত্রের খবর, এভাবে ঠিক ভোটের আগে সরকার পড়ে যাওয়া জনমানসে খুব খারাপ বার্তা দেবে। লোকজন মনে করতে পারে যে এরা তো নিজেদের ঘর সামলাতে পারে না, এদের ভোট দিয়ে কি হবে। কংগ্রেস নির্বাচনে যাচ্ছিল এটিকে নারায়ণস্বামী বনাম কিরণ বেদির মধ্যে লড়াই হিসেবে প্রোজেক্ট করে। অনেকটা দিল্লিতে কেজরিওয়ালের স্টাইলে। কিন্তু কেন্দ্র কিরণ বেদীকে সরিয়ে দেওয়ায় পুরো কংগ্রেসের গেলপ্ল্যানটাই মাঠে মারা গিয়েছে। ঠিক কংগ্রেস সরকার পড়তে পারে, এটি অনুধাবন করার পরই কিরণ বেদীকে আচমকা বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রীয় সরকার।
তবে কলকাঠি নেড়ে দলে বিদ্রোহ সৃষ্টি করে পুদুচেরি জনাদেশকে বিজেপি অপমান করেছে, এই কথাই ভোটের সময় মানুষের কাছে বলতে চায় কংগ্রেস। তবে এতে কতটা চিঁড়ে ভিজবে, সেই নিয়ে দলের মধ্যেই প্রশ্ন আছে। নারায়ণস্বামীর গ্রহণযোগ্যতা নিয়েও দলে ভিন্নধর্মী মতামত আছে।
অন্যদিকে বিজেপি আপাতত সরকার গঠনের চেষ্টা করবে না বলে জানিয়েছেন পুদুচেরিতে দলের প্রধান স্বামীনাথন। তিনি জানান যে মোদীর নেতৃত্বে আসন্ন নির্বাচনে বিজেপি ও তার শরিকদলরা ক্ষমতায় আসবে। স্বামীনাথন বলেন গত পাঁচ বছর ধরে লুঠের সরকার চলেছে ও কেন্দ্রের তরফ থেকে যে টাকা পাঠানো হয়েছে বিভিন্ন খাতে, সবই অসাধু লোকদের কাছে চলে গিয়েছে। রাহুল গান্ধীর সফরের সময়ও মানুষ কীভাবে অভিযোগ করছিলেন, সেই কথা তুলে ধরেন তিনি।
বিজেপি নেতার দাবি উন্নয়ন ও জনহিতের পথে না গিয়ে শোষণ ও দুর্নীতির সংস্কৃতি সৃষ্টি করেছিল কংগ্রেস ও ডিএমকে। এই জন্যই মানুষ তাদের ভোটে সমুচিত শিক্ষা দেবে বলে তিনি দাবি করেন। চলতি সপ্তাহেই পুদুচেরিতে আসছেন মোদী। বাংলা সহ বাকি চার রাজ্যের সঙ্গে কেন্দ্রীয় শাসিত পুদুচেরিতে এপ্রিল-মে মাসে বিধানসভা ভোট হবে।