সপ্তর্ষি দাস
করমণ্ডল এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনার তদন্তে সিবিআই। কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়েছিলেন রেল বোর্ড সিবিআই তদন্তের সুপারিশ করেছে। তবে এবার সিবিআইকে দিয়ে ওই দুর্ঘটনার তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন তুললেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। সোমবার এনিয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে চিঠিও পাঠিয়েছেন। তিনি এই প্রসঙ্গে ২০১৬ সালে কানপুরে ট্রেন বেলাইনের ঘটনার প্রসঙ্গ এনেছেন।
খাড়গে লিখেছেন, দেশ এখনও ২০১৬ সালের কানপুরে রেল বেলাইনের ঘটনা মনে রেখেছে। সেবার ১৫০জন মারা গিয়েছিলেন। রেলমন্ত্রী সেই সময় এনআইএকে তদন্তভার দিয়েছিলেন। আর ২০১৭ সালে একটি নির্বাচনী সভাতে আপনি দাবি করলেন এটা একটা ষড়যন্ত্র হতে পারে। আপনি সেই সময় দেশকে বলেছিলেন কঠোরতম সাজা দেওয়া হবে। আর ২০১৮ সালে NIA কেসটা বন্ধ করে দিল।
খাড়গে লিখেছেন, এনআইএ চার্জশিটও দিল না। গোটা দেশ অন্ধকারে থেকে গেল সেই ১৫০জনের মৃত্যুর পেছনে কে দায়ী? বর্তমানের নানা বিবৃতি, কোনও বিশেষজ্ঞ ছাড়াই অপর একটি এজেন্সির হাতে তদন্তভার দেওয়া এটা সেই ২০১৬ সালের ঘটনার কথা মনে করাচ্ছে। আসলে এটা বোঝা যাচ্ছে আপনারা সুরক্ষা সংক্রান্ত কোনও গাফিলতি ছিল কি না এটা বিশেষ দেখছেন না। আপনারা বিভাজনের সেই কৌশল নিচ্ছেন। লিখেছেন বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে।
খাড়গের সাফ কথা, এই ধরনের বড় দুর্ঘটনার তদন্ত করার মতো পরিস্থিতি সিবিআইয়ের নেই। তিনি জানিয়েছেন, রেলমন্ত্রী বলছেন দুর্ঘটনার 'Root cause'টা তিনি খুঁজে পেয়েছেন। কিন্তু তারপরেও সিবিআইকে তদন্ত করতে দিচ্ছেন। সিবিআই অপরাধের তদন্ত করে, রেল দুর্ঘটনার নয়। সিবিআই বা এই ধরনের কোনও এজেন্সি টেকনিকাল ,ইনস্টিটিউশনাল বা পলিটিকাল কোনও ডামাডোল নিয়ে তদন্ত করে না। রেল সুরক্ষা, সিগন্য়াল সংক্রান্ত ব্যাপার, মেরামতি, নজরদারি সংক্রান্ত ব্যাপার নিয়ে তদন্ত করার মতো বিশেষজ্ঞ তাদের কাছে নেই।
মোদীকে লেখা চিঠিতে তিনি জানিয়েছেন, সুরক্ষার বহর যেভাবে কমছে তাতে যাত্রীদের মধ্য়ে স্বাভাবিকভাবেই উদ্বেগ বাড়ছে। আজকে সবথেকে অগ্রাধিকারের বিষয় হল আবশ্যিক যে সুরক্ষা সংক্রান্ত বিষয় রয়েছে সেগুলিকে লাগু করা। এই ধরনের দুর্ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না হয় সেটাও দেখা দরকার।