বাড়তে পারে লকডাউনের মেয়াদ। পরবর্তিত পরিস্থিতিতে কমপক্ষে এপ্রিলের শেষ পর্যন্ত লকডাউন চলতে পারে। হিন্দুস্তান টাইমসকে এমনই তথ্য দিলেন এক উচ্চপদস্থ সরকারি আধিকারিক।
ওই আধিকারিক জানান, উত্তরপ্রদেশ, তেলাঙ্গানা, মহারাষ্ট্র, এমনকী কর্নাটকও কেন্দ্রকে লকডাউন বাড়ানোর বার্তা পাঠিয়েছে। ওই রাজ্যগুলির মতে, লকডাউন জারি থাকলে করোনাভাইরাস মোকাবিলা সোজা হবে। পঞ্জাব অবশ্য সরাসরি আর্জি না জানালেও কংগ্রেস শাসিত রাজ্যও বিধিনিষেধ বজায় রাখার দিকেই ঝুঁকে আছে। বিশেষজ্ঞদেরও মতে, বর্তমানে দেশে করোনার আক্রান্ত পাঁচ হাজার ছুঁইছুঁই। এই অবস্থায় লকডাউন প্রত্যাহার করা হলে সংক্রমণ আরও বাড়বে।
এদিকে, লকডাউন তোলা হলে কী কী বিষয় বিবেচনা করতে হবে, তা নিয়ে মঙ্গলবার দিনের শুরুতে বৈঠকে বসেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের দল। প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের নেতৃত্বে সেই বৈঠকে হাজির ছিলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন-সহ ১৫ জন মন্ত্রী। সংক্রমণ না ছড়িয়েই প্রয়োজনীয় অংশের যাতায়াত নিশ্চিত করার জন্য কোন মাধ্যমের পরিবহন চালু করা হবে, তা নিয়ে আলোচনা হয়।
এক আধিকারিক বলেন, 'মন্ত্রীরা স্পষ্ট জানান, যদিও বা লকডাউন প্রত্যাহার করা হয়, ভ্রমণ বা যাতায়াতের উপর বিধিনিষেধ থাকবে।' অপর এক আধিকারিক বলেন, 'ট্রেন ও বাস স্বাভাবিক হবে না। উড়ান পরিষেবাও বিঘ্নিত হবে। নতুন স্বাভাবিকত্বের পথে ধীরে ধীরে ও ধাপে ধাপে যাওয়া হবে, এরকমই আশা করতে হবে আমজনতাকে।'
পাশাপাশি, লকডাউনের জেরে কীভাবে কৃষিক্ষেত্র সমস্যার মুখে পড়েছে, তা নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অ্যাডভাইজারি সত্ত্বেও বীজ রোপণের মরশুম ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার যে আশঙ্কা রয়েছে, তার সমাধান নিয়েও আলোচনা হয়। এক আধিকারিক বলেন, 'মন্ত্রীদের বলা হয়, কৃষি ক্ষেত্রের যে বিশেষ তা নীচের স্তরে পর্যন্ত পৌছে যাচ্ছে না। বা যে শ্রমিকরা মাঠে কাজ করেন, তাঁরা ভীত হয়ে আছেন ও কাজে ফিরে যাচ্ছেন না।' শ্রমিকরা ভীত থাকায় ওষুধ ও জরুরি দ্রব্য জোগানের ক্ষেত্রেও সমস্যা হচ্ছে। তা নিয়েও একপ্রস্থ আলোচনা হয়।
তবে লকডাউন বাড়ানো হবে কিনা, সেই প্রশ্নে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে কিছু খোলসা করে বলা হয়নি। মন্ত্রকের যুগ্মসচিব বলেন, 'এটা নিয়ে ইতিমধ্যে বিবৃতি জারি হয়েছে। একবার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে আমরা আপনাদের জানিয়ে দেব।'