চিনা টিকার উপর নির্ভরশীল দেশগুলিতে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ। আর এর জেরে চিনের তৈরি ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা নিয়ে উঠতে শুরু করল প্রশ্ন। সেশেলস, মঙ্গোলিয়া, চিলির মতো যে দেশগুলিতে চিনা টিকা প্রয়োগ করা হচ্ছে সেখানে গত বেশ কয়েকদিন ধরে ফের করোনা সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। মূলত টিকা কূটনীতির অংশ হিসেবে এই দেশগুলিকে টিকা দিয়েছিল চিন। তবে এবার চিনের টিকা নিয়ে বড়ছে সংশয়।
মঙ্গোলিয়াতে ইতিমধ্যেই ৫৮.৭ শতাংশ মানুষকে অন্তত একটি টিকা দেওয়া হয়েছে। সেশেলসে এই হার ৭২ শতাংশ। আর এই দেশগুলিতে নতুন করে করোনা মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। এই আবহে বাহরিন তাদের দেশের জনগণকে তৃতীয় বুস্টার নেওয়ার অনুমতি দিয়েছে। বাহরিনও চিনের টিকা প্রয়োগ করছে। সেই দেশে ৫০ শতাংশেরও বেশি মানুষ টিকার দুটি ডোজ পেয়েছিলেন। তবে তা সত্ত্বেও সংক্রমণ বাড়তে থাকায় তৃতীয় ডোজের অনুমোদন দেয় সেদেশের সরকার। যা নিয়ে উদ্বিগ্ন বিশেষজ্ঞরা। এই আবহে অনেক বিশেষজ্ঞের মত, এই সংক্রমণ বাড়ার নেপথ্যে মূল কারণ চিনা টিকাগুলোই। বিশেষজ্ঞদের মত, সাম্প্রতিক করোনা স্ট্রেন রুখতে ব্যর্থ চিনা টিকা। তাই ফের সেই দেশগুলিতে সংক্রমণ বাড়ছে। কারণ টিকা নিজের কাজ করতে ব্যর্থ।
এই বিষয়ে হংকং বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইরলজিস্ট জিন ডোনজ্ঞান নিউইয়র্ক টাইমসকে বলেন, 'যদি টিকাগুলো সত্যি কার্যকর হত তাহলে এই প্যাটার্ন দেখতে হত না আমাদের। এই পরিস্থিতি ঠিক করার দায়িত্ব চিনাদের উপর বর্তায়।'
এদিকে এবার অনেকেই চিনের উপর আঙুল তুলছে। টিকা সংক্রান্ত তথ্যের অভাব নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। তবে চিনের দুই সংস্থা সাইনোভ্যাক এবং সাইনোফার্মকে অনুমোদন দিয়েছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। যদিও সাইনোভ্যাকের টিকা করোনাভ্যাকের কার্যকারিতার হার মাত্র ৫১ শতাংশ। এদিকে সাইনোভ্যাকের কার্যকারিতার হাক ৭৯ শতাংশ বলে দাবি করে সংস্থাটি। যদিও প্রভাবিত দেশগুলি চিনা টিকার বিরুদ্ধে মুখ খুলতে নারাজ।