দেশে এখনও পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন নেই। তার মধ্যে এখনও অনেক ডোজ নষ্ট হচ্ছে। এই নিয়ে রিভিউ মিটিংয়ে উষ্মা প্রকাশ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি আধিকারিকদের নির্দেশ দেন যে যত দ্রুত সম্ভব এটা কমাতে হবে। শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে করা এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজনাথ সিং, অমিত শাহ, নির্মলা সীতারামন সহ অন্যান্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা। বর্তমানে দেশে মোট ভ্যাকসিনের প্রায় ছয় শতাংশ নষ্ট হচ্ছে।
পিএমও থেকে প্রকাশিত বিবৃতিতে জানানো হয়েছে যে মোদীকে বুঝিয়ে বলা হয় দেশে এই মুহূর্তে ভ্যাকসিনের কতটা জোগান আছে। ধাপে ধাপে কীভাবে এই পরিমাণ বৃদ্ধি করা হবে সেই পরিকল্পনার কথাও তাঁকে বলা হয়। টিকা প্রস্তুতকারকদের সঙ্গে কেন্দ্র একযোগে কাজ করছে যাতে উৎপাদন কেন্দ্র, কাঁচা মাল দ্রুত তাদের কাছে এসে পৌঁছায়। টিকাকরণের প্রক্রিয়াটি যাতে সাধারণ মানুষের জন্য আরো সহজ-সরল হয়, সেই নিয়েও এদিন আলোচনা হয়।
স্বাস্থ্যকর্মী সহ করোনা যোদ্ধাদের কত শতাংশ এখনও পর্যন্ত টিকা পেয়েছেন, সেই নিয়ে খোঁজখবর করেন মোদী। এছাড়াও বিভিন্ন বয়সের মানুষেরা কত শতাংশ টিকা নিয়েছেন সেটাও জানতে চান মোদী। তবে এদিনের বৈঠকে আলাদা করে টিকা নষ্টের বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন তিনি। এখনও কেন এত টিকা নষ্ট হচ্ছে ও সেটি বন্ধ করতে কি করা হচ্ছে, সেই নিয়ে প্রশ্ন করেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রসঙ্গত, সরকার ইতিমধ্যেই বলেছে যে এই বছরের শেষের মধ্যে দেশে টিকাকরণ প্রক্রিয়া শেষ করা হবে। আগামী দুই মাসের মধ্যে দৈনিক এক কোটি টিকাকরণ করার কথা চলছে। সেই প্রেক্ষিতে টিকা নষ্ট হওয়া যে একেবারেই কাম্য নয় সেটিই এদিন স্পষ্ট করে দেন মোদী। ভারতে এখনও পর্যন্ত প্রায় ২৩ কোটি মানুষ কমপক্ষে টিকার একটি ডোজ পেয়ে গিয়েছেন। সরকারের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী সারা দেশে প্রায় ছয় শতাংশ টিকা নষ্ট হচ্ছে। কোনও কোনও রাজ্যে তো সংখ্যাটি ৩০ শতাংশের বেশি। যদিও সেই সব রাজ্যের দাবি যে ডেটা আপডেট করায় ত্রুটি রয়েছে বলেই এই সংখ্যায় গরমিল দেখাচ্ছে।