বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > কোভিশিল্ডের দুটি ডোজের মধ্যে ব্যবধান কমছে না, ১২-১৬ সপ্তাহই থাকছে: কেন্দ্র

কোভিশিল্ডের দুটি ডোজের মধ্যে ব্যবধান কমছে না, ১২-১৬ সপ্তাহই থাকছে: কেন্দ্র

একজন স্বাস্থ্যকর্মী কোভিড টিকা দিচ্ছেন। প্রতীকী ছবি।

ন্যাশনাল টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজরি গ্রুপ অন ইমিউনাইজেশন ২০ মার্চ পরামর্শ দিয়েছিল যে কোভিশিল্ডের দুটি ডোজের মধ্যে ব্যবধান ১২-১৬ সপ্তাহ থেকে কমিয়ে ৮-১৬ সপ্তাহ করা উচিত।

করোনার বিরুদ্ধে কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের দুটি ডোজের মধ্যে ব্যবধান কমছে না। আগের সময়সীমা অর্থাৎ ১২ থেকে ১৬ সপ্তাহ রাখারই সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। যদিও বিশেষজ্ঞ কমিটি সুপারিশ করেছে এই ব্যবধান কমিয়ে ৮-১৬ সপ্তাহ করা উচিত। এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের এক কর্তা জানিয়েছেন, ‘স্বাস্থ্য মন্ত্রক আপাতত কোভিশিল্ডের দুটি ডোজের মধ্যে ব্যবধান কমাচ্ছে না।’

উল্লেখ্য, ন্যাশনাল টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজরি গ্রুপ অন ইমিউনাইজেশন ২০ মার্চ পরামর্শ দিয়েছিল যে কোভিশিল্ডের দুটি ডোজের মধ্যে ব্যবধান ১২-১৬ সপ্তাহ থেকে কমিয়ে ৮-১৬ সপ্তাহ করা উচিত। এক স্বাস্থ্য কর্তার কথায়, ‘দুটি ডোজের মধ্যে ব্যবধান এখনই পরিবর্তন করার প্রয়োজনীয়তা মনে করছে না মন্ত্রক। আরেক আধিকারিকের কথায়, ‘এনিয়ে পরবর্তী পরিস্থিতিতে সিদ্বান্ত নেওয়া হবে। আপাতত দুটি ডোজের মধ্যে বর্তমান যে ব্যবধান রয়েছে সেটাই থাকবে।’

উল্লেখ্য, ২০২১ সালের জানুয়ারিতে ভারতে যখন করোনা টিকা দেওয়া শুরু হয়েছিল, তখন কোভিশিল্ডের দুটি ডোজের মধ্যে ব্যবধান ছিল ৪-৬ সপ্তাহ। পরে তা বাড়িয়ে ৬-৮ সপ্তাহ করা হয়। গত মে মাসে, দেশে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত এই করোনা টিকার ব্যবধান বাড়িয়ে ১২-১৬ সপ্তাহ করা হয়। বর্তমানে এই ব্যবধানই রয়েছে। চলতি মাসে এই ব্যবধানটি কমিয়ে ৮-১৬ সপ্তাহ করার সুপারিশ জানানো হয়। প্রসঙ্গত, দুটি ডোজের মধ্যে ব্যবধান বাড়ানোর পর অভিযোগ ছিল যে টিকার ঘাটতি পূরণের জন্য ব্যবধান হয়েছিল। যদিও কেন্দ্রীয় সরকার এই অভিযোগ অস্বীকার করেছিল। কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছিল, আরও ভাল কার্যকারিতার জন্য ব্যবধান বাড়ানো হয়েছিল।

বন্ধ করুন