ন্যাশনাল জুডিশিয়াল কমিশনের মাধ্যমে বিচারপতি নিয়োগের জন্য রাজ্যসভায় প্রাইভেট মেম্বার বিল পেশ করা হল। সিপিআইএমের রাজ্যসভার সাংসদ বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য সেই বিল পেশ করেন। তবে বিলের বিরোধিতা করেন আম আদমি পার্টির (আপ) সাংসদ রাঘব চাড্ডা।
সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ও অন্যান্য বিচারপতি এবং হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ও বিচারপতি নিয়োগের জন্য নাম প্রস্তাব করার ক্ষেত্রে ন্যাশনাল জুডিশিয়াল কমিশন যে প্রক্রিয়া মেনে চলবে, সেই সংক্রান্ত আইনের জন্য বিল প্রাইভেট মেম্বার বিল পেশ করেন বিকাশরঞ্জন। ধ্বনিভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার পর সেই বিলটি (ন্যাশনাল জুডিশিয়াল কমিশন বিল ২০২২ বা National Judicial Commission Bill, 2022) পেশ করা হয়।
অনুমোদন পড়ে গেলে সেটির মাধ্যমেই সুপ্রিম কোর্ট এবং হাইকোর্টের বিচারপতি বদলি হবে। শীর্ষ আদালত বা কোনও হাইকোর্টের কোনও বিচারপতির বিরুদ্ধে যদি খারাপ ব্যবহারের অভিযোগ ওঠে, তাহলে তদন্তের কাঠামো তৈরি করবে। সেইসঙ্গে কোনও বিচারপতিকে সরিয়ে দেওয়া সংক্রান্ত বিষয়ে সংসদের আলোচনা রাষ্ট্রপতির সামনে তুলে ধরার বিষয়টিরও প্রস্তাব করা হয়েছে ওই বিলে।
যদিও সেই বিলের বিরোধিতা করেন রাঘব। তিনি যুক্তি দেন, ন্যাশনাল জুডিশিয়াল কমিশনের যে ধারণা, সেই বিষয়টি তিনবার (১৯৯৩ সাল, ১৯৯৮ সাল এবং ২০১৬ সাল) বিবেচনা করেছে সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতির স্বাধীনতায় গুরুত্ব আরোপ করে তিনবারই সেই বিষয়টি খারিজ করে দিয়েছে শীর্ষ আদালত। আপ সাংসদ বলেন, ‘আমরা এমন একটা কাজ করার চেষ্টা করছি, যা সাংবিধানকভাবে অসম্ভব।'
আরও পড়ুন: Harish Salve on Kiren Rijiju: বিচার ব্যবস্থা নিয়ে মন্তব্য করে লক্ষ্মণরেখা পার করেছেন রিজিজু, মত হরিষ সালভের
আপ সাংসদ আরও বলেন, 'আমার মতে বর্তমানে বিচারপতিদের নিয়োগের ক্ষেত্রে যে কলেজিয়াম প্রথা আছে, তা ভালোভাবেই চলছে। সেই প্রথায় উন্নতির আরও সুযোগ থাকতে পারে। যা বিচারব্যবস্থার সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে করা যেতে পারে। কেন্দ্রীয় সরকারকে আমাদের এমন কোনও সুযোগ দেওয়া উচিত নয়, যাতে ওরা (কেন্দ্রের বিজেপি সরকার) বিচারপতিদের নিয়োগের ক্ষেত্রে হস্তক্ষেপ করতে পারে।’
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট জানায়, বিচারপতিদের নিয়োগ নিয়ে নয়া আইন আনার ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকারকে কেউ বাধা দিচ্ছে না। তবে যতক্ষণ না বিচারপতিদের নিয়োগ নিয়ে নয়া কোনও আইন আনা হচ্ছে, ততক্ষণ কলেজিয়াম প্রথাই 'চূড়ান্ত'।