গভীর নিম্নচাপ থেকে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হল ‘নিভার’। যা আগামিকাল (বুধবার) সন্ধ্যায় মামল্লপুরম এবং কারাইকালের মধ্যে দিয়ে তামিলনাড়ু এবং পুুদুচেরিতে আছড়ে পড়বে। সেই সময় ঝড়ের গতিবেগ ঘণ্টায় ১০০-১১০ কিলোমিটার থাকবে। ঘূর্ণায়মান বাতাসের গতিবেগ কখনও কখনও ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটারও পৌঁছে যেতে পারে।
মৌসম ভবনের তরফে জানানো হয়েছে, আপাতত উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরের উপর ‘নিভার’ অবস্থান করছে। উত্তর-পশ্চিম চেন্নাই থেকে সেটির দূরত্ব ৪৫০ কিলোমিটারের মতো। সেজন্য ইতিমধ্যে তামিলনাড়ু এবং পুুদুচেরির উপকূলবর্তী এলাকায় হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। তবে মঙ্গলবার থেকেই দু'রাজ্যে বৃষ্টিপাত শুরু হবে। তা বৃহ্স্পতিবার পর্যন্ত চলবে। উত্তর-মধ্য এবং উপকূলীয় জেলাগুলিতে মঙ্গলবার এবং বুধবার ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
২০১৬ সালের ‘বরধা’ এবং ২০১৮ সালের ‘গাজা’ ঘূর্ণিঝড়ের অভিজ্ঞতাকে হাতিয়ার করে ‘নিভার’-এর জন্য প্রস্তুত হচ্ছে তামিলনাড়ু সরকার। পুদুকোট্টাই, ভিল্লুপুরমের মতো জেলায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকায় ইতিমধ্যে উপকূলবর্তী এলাকায় জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর (এনডিআরএফ) একাধিক দল পাঠানো হয়েছে। চেন্নাইয়ে এনডিআরএফের দুটি এবং মাদুরাইয়ে একটি দল তৈরি আছে। প্রয়োজনে সেই দলগুলিকেও বিভিন্ন জায়গায় পাঠানো হতে পারে। চেন্নাইয়ে ইতিমধ্যে ৮০ টি ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে। আরও ৮০ টি ত্রাণ শিবির তৈরি রাখা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কায় কয়েকটি ট্রেন বাতিল করেছে দক্ষিণ রেল। বেসরকারি বাস-সহ সাতটি জেলায় আন্তঃরাজ্য এবং অন্তঃরাজ্য বাস পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে। চেন্নাইয়ে সর্বভারতীয় মেডিক্যাল প্রবেশিকার (নিট) কাউন্সেলিং পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। আঞ্চলিক আবহাওয়া দফতরের তরফে ইতিমধ্যে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। একইসঙ্গে বাড়িতে শুকনো খাবার মজুত রাখা এবং অপ্রয়োজনীয় যাতায়াত এড়িয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে প্রশাসন।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রস্তুতি নিয়ে মঙ্গলবার সকালে তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী কে পলানিস্বামী এবং পুদুচেরির মুখ্যমন্ত্রী ভি নারায়ণস্বামীর সঙ্গে কথা বলেছেন। কেন্দ্রের তরফে যাবতীয় সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন মোদী।