দুর্ঘটনার প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই প্রাণ হারান সাইরাস মিস্ত্রি। মঙ্গলবার তাঁর ময়নাতদন্তের রিপোর্টে এমনই উল্লেখ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, 'মাথায় গুরুতর আঘাত ও একাধিক বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গে আঘাত রয়েছে।' একই কথা উল্লেখ করা হয়েছে তাঁর বন্ধু জাহাঙ্গির পাণ্ডোলের ময়নাতদন্তের রিপোর্টেও।
রবিবার টাটা সনসের প্রাক্তন চেয়ারম্যানের পাশাপাশি সড়ক দুর্ঘটনায় জাহাঙ্গীরেরও মৃত্যু হয়। একসঙ্গে আহমেদাবাদ থেকে মুম্বই ফিরছিলেন তাঁরা। সেই সময়ে পালঘরের কাছে তাঁদের গাড়িটি ঘণ্টায় প্রায় ১৩০ কিলোমিটার গতিতে ডিভাইডারে ধাক্কা মারে। সাইরাস মিস্ত্রি সিটবেল্ট পরে ছিলেন না বলে জানিয়েছেন পুলিশকর্মীরা।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, মাথায় গুরুতর আঘাত পেয়েছিলেন শিল্পপতি। এর ফলে প্রচণ্ড রক্তক্ষরণ শুরু হয়। সেই সঙ্গে বুকেও গুরুতর ধাক্কা লেগেছিল। ঘটনাস্থলেই তাঁদের মৃত্যু হয়। তদন্তকারী আধিকারিকরা জানিয়েছেন, এখনও রাসায়নিক বিশ্লেষণের প্রক্রিয়াটি বাকি। সেটি সম্পন্ন হলেই ময়নাতদন্তের চূড়ান্ত রিপোর্ট পেশ করা হবে।
মঙ্গলবার মুম্বইয়ে সাইরাস মিস্ত্রির শেষকৃত্য হয়। মধ্য মুম্বইয়ের ওরলিতে এক বৈদ্যুতিক শ্মশানে হিন্দু রীতি অনুযায়ী শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। রতন টাটার পর ২০১২-১৬ সাল টাটা সন্সের প্রধান ছিলেন সাইরাস মিস্ত্রি। ৫৪ বছর বয়স হয়েছিল তাঁর।
এদিকে তাঁর সিটবেল্ট না পরার বিষয়টি নিয়ে নতুন করে ভাবছেন কেন্দ্রীয় আইনপ্রণেতারা। পেছনের সিটেও বেল্ট বাঁধার গুরুত্ব তুলে ধরেছেন সড়ক পরিবহণ মন্ত্রী নীতিন গড়করি।সাইরাস মিস্ত্রির এই মর্মান্তিক মৃত্যু নতুন করে ভাবাচ্ছে আইনপ্রণেতা, গাড়ি নির্মাতা ও আমজনতাকে।
ইতিমধ্যেই সিটবেল্ট অ্যালার্টের 'স্টপার ক্লিপ' নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র সরকার।