আজ, শুক্রবার সংসদে বড় দাবি করলেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। শেষ ১০ বছরে ট্রেন দুর্ঘটনা মারাত্মক আকারে কমেছে বলে দাবি করেন রেলমন্ত্রী। রাজ্যসভার সাংসদ প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদী রেলের লাইনচ্যুত হওয়া–সহ নানা প্রশ্ন তোলেন সংসদে। তারই উত্তর দেন রেলমন্ত্রী। এমনকী সংসদে জমা দেওয়া লিখিত তথ্যে বিস্তারিত তুলে ধরেন অশ্বিনী বৈষ্ণব। সেখানেই উল্লেখ করা হয় ট্রেন দুর্ঘটনার গড় কমেছে বড় আকারে। যদিও এই তথ্যের পরেও মানুষের মনে পড়ছে সম্প্রতি করমণ্ডল এক্সপ্রেসের ভয়াবহ দুর্ঘটনা। যেখানে শতাধিক মানুষের প্রাণ গিয়েছিল।
এদিকে আজ সংসদে লিখিত বিবৃতি পেশ করেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। তারপর এই ট্রেন দুর্ঘটনা নিয়ে রেলমন্ত্রী বলেন, ট্রেন দুর্ঘটনার গড় ২০০৪ সাল থেকে ২০১৪ সাল সময়কালে প্রত্যেক বছর গড়ে ১৭১টি ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটত। এই সংখ্যাটাই কমে গিয়ে গড়ে ৭১টি ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটেছে ২০১৪ সাল থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে। সুতরাং গড় কমে দাঁড়িয়েছে ৮২.৬ শতাংশ। এই তথ্যই আজ সংসদে পেশ করেছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। তবে এই তথ্য অনেকে মানতে পারছেন না।
অন্যদিকে রেলমন্ত্রীর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮–১৯ থেকে ২০২২–২৩ সালে মোট ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটেছিল ২১৯টি। তার মধ্যে ১৬৬টি ছিল ট্রেন লাইনচ্যুত হওয়ার ঘটনা। তার জেরে ২৫জন যাত্রীর প্রাণহানি হয়েছিল। এই বিষয়ে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেন, ‘এই ট্রেন দুর্ঘটনাগুলি বড় কারণ হল—ট্র্যাকের ত্রুটি, লোকো কোচের ত্রুটি, সরঞ্জামের ব্যর্থতা এবং মানুষের ভুলত্রুটি। ট্রেন দুর্ঘটনার জেরে নিহত পরিবারগুলিকে ক্ষতিপূরণ এবং লেভেল ক্রসিংয়ের জন্য খরচ হয়েছে শেষ পাঁচ বছরে আনুমানিক ১৪.২৩ কোটি টাকা।’ রেলমন্রক সূত্রে খবর, ট্রেন দুর্ঘটনা এড়াতে একাধিক পদক্ষেপ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।
আরও পড়ুন: বাংলায় ঘুরছে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল, মোদী সরকারের দরবারে গেল নবান্নের কড়া চিঠি
এছাড়া ৬ হাজার ৪৯৮টি স্টেশনে বসানো হয়েছে ইলেক্ট্রিক্যাল ইন্টারলকিং সিস্টেম। আর অন্যান্য পরিকাঠামোর আধুনিকীকরণ করা হয়েছে। মন্ত্রককে চিঠিতে বৈষ্ণব লিখেছেন, রেলের স্টাফদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য। আর রেলের কোচ থেকে ওয়াগন নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ করার সুপারিশ করেন রেলমন্ত্রী। রেল ট্র্যাক রোজ তদারকি করতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যাতে কোনও ত্রুটি থাকলে ধরা পড়ে যায়। আনম্যানড লেভেল ক্রসিং তুলে দেওয়া হয়েছে। তবে ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে বড় ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটেছিল। যার জেরে বহু মানুষের প্রাণ যায়। আবার করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় ২৯৬ জন মানুষ মারা যায়।