একশো দিনের কাজের বকেয়া টাকা এবং আবাস যোজনার টাকা পায়নি বাংলা। এই নিয়ে বারবার দেখা করেও মেলেনি সমাধানসূত্র। নয়াদিল্লিতে আন্দোলন পৌঁছে দেন ডায়মন্ডহারবারের তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ডিসেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময়ে নয়াদিল্লি যাবেন খোদ বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার আগে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী গিরিরাজ সিং কদর্য ভাষায় আক্রমণ করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে। এই আবহে এবার নবান্ন থেকে কড়া চিঠি গেল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দরবারে বলে সূত্রের খবর।
তবে এই চিঠি কোনও অনুরোধ নেই। এই চিঠিতে মোদী সরকারকে এবার কড়া ভাষায় নবান্ন পরিষ্কার জানিয়ে দিল, ১০০ দিনের কাজ এবং আবাস যোজনা খাতে বাংলার প্রতি যে বঞ্চনা এবার তা শেষ করতে হবে। ইতিমধ্যেই এইসব প্রকল্পের কাজ খতিয়ে দেখতে রাজ্যের ১৪টি জেলায় কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল পাঠিয়েছে নয়াদিল্লি। প্রকল্পে অনিয়ম খুঁজতে তাঁরা ঘুরে বেড়াচ্ছেন। আর কেন্দ্রীয় সরকার টাকা আটকে রাখতে নানা অছিলা তৈরি করছে বলে অভিযোগ নবান্নের। নয় চিঠি, নয় কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল পাঠিয়ে বাংলার গরিব প্রান্তিক মানুষের ন্যায্য প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত করছে। তাই কড়া ভাষায় রাজ্যের পাওনা মিটিয়ে এবার বলা হয়েছে নবান্নের চিঠিতে বলে সূত্রের খবর।
নবান্ন সূত্রে খবর, এই চিঠিতে তিনটি বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে। এবার আগের পঞ্চায়েত দফতর এবং গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের মধ্যে যাবতীয় চিঠি আদানপ্রদানের দিনক্ষণ উল্লেখ করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকার নির্দিষ্টভাবে কোনও অভিযোগই জানাতে পারেনি। নির্দিষ্ট কোনও অভিযোগ থাকলে সেটা স্পষ্ট করা হোক। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, রাজ্যের ১৪টি জেলায় কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল ঘুরে বেড়াচ্ছে। তাঁদের পেশ করা রিপোর্ট যেন কেন্দ্র দ্রুততার সঙ্গে রাজ্যকে পাঠায়। টাকা আটকে রাখার জন্য সময় নষ্ট করা যেন না হয়।
আরও পড়ুন: হাসপাতালের বেড থেকে পড়ে গেলেন মদন মিত্র, কাঁধের হাড় ভাঙল অসুস্থতার মধ্যেই
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক নবান্নের উচ্চপদস্থ অফিসার জানান, কেন্দ্রকে অ্যাকশন টেকেন রিপোর্ট রাজ্যকে পাঠাতে চিঠিতে বলা হয়েছে। তাঁর কথায়, ‘কেন্দ্র যেদিন চিঠি পাঠাবে, তার কয়েকদিনের মধ্যেই আমরা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করে রিপোর্ট পাঠিয়ে দেব। আমরা আগেও তা করেছি। কিন্তু কেন্দ্রকে এবার এই জিইয়ে রাখা সমস্যার শেষ করতে হবে।’ এখন সংসদে পেশ করা রিপোর্টের পর কেন্দ্রের উপর চাপ বাড়ছে। তাই এই টালবাহানার প্রতিবাদ করেই অবস্থান স্পষ্ট করে চিঠি পাঠানো হয়েছে নয়াদিল্লিকে বলে জানান ওই অফিসার।