শুক্রবারই দুই অনুগামী কাউন্সিলরকে নিয়ে আম আদমি পার্টিতে যোগ দিয়েছিলেন দিল্লি কংগ্রেসের সহ সভাপতি আলি মেহেদি। দিল্লি পুরসভা নির্বাচনে বিপুল জয় পেয়েছিল আপ। এরপরই শুক্রবার তারা কংগ্রেস ছেড়েছিলেন। তবে কিছুক্ষণের মধ্যেই তারা সোস্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে ফের ফেরৎ এলেন পুরানো দলে। সেই সঙ্গেই রাহুল গান্ধীর কাছে ক্ষমাও চেয়ে নিয়েছেন তিনি।
উত্তরপূর্ব দিল্লির দুই জয়ী কংগ্রেস কাউন্সিলর শাবিলা বেগম ও ব্রিজপুরীর নাজিয়া খাতুন ও স্থানীয় কংগ্রেস নেতা আলিম আনসারিকে সঙ্গে নিয়ে কংগ্রেস ছেড়ে আপে যোগ দেন তাঁরা। এমনকী মেয়র নির্বাচনে তাঁরা আপকে সমর্থন করবেন বলেও জানিয়ে দেন। এনিয়ে হইচই শুরু হয়ে যায়। এবার মাত্র ৯টি আসনে জয়ী হয়েছিল কংগ্রেস। তাঁরা দল ছাড়ায় আরও দুর্বল হয়ে পড়ে কংগ্রেস। কাউন্সিলরের সংখ্যা কমে দাঁড়ায় সাতে। কিন্তু কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ভুল বুঝতে পারেন আলি মেহেদি।
পরে তাঁরা আবার কংগ্রেসে ফিরে আসেন। তাঁর দাবি বড় ভুল করে ফেলেছিলাম। একেবারে হাত জোড় করে ক্ষমা চান তিনি। মাঝরাতে নাটকীয়ভাবে কংগ্রেসে ফিরে আসেন তাঁরা। এর সঙ্গে ঘণ্টা খানেক বাদে ফের ভিডিয়ো পোস্ট করেন তিনি। সেখানে জানিয়ে দেন রাহুল গান্ধীর সঙ্গেই তাঁরা কাজ করবেন।
এরপরই কিছুটা হলেও স্বস্তি ফেরে কংগ্রেস শিবিরে। কারণ তারা আপে চলে গেলে এলাকায় কংগ্রেসের শক্তি আরও কমত। এর জেরে আরও সমস্যায় পড়ত কংগ্রেস। তবে টাকার লোভে দল ছেড়েছেন বলেও এক যুব কংগ্রেস নেতা আগেই কটাক্ষ করেছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত দলত্যাগীরা ফের রাহুল গান্ধীর প্রতি আস্থা দেখিয়েছেন। তবে দলবদলের এই নাটককে ঘিরে রীতিমতো চর্চা শুরু হয়েছে দিল্লিতে।