জসজীব গান্ধীয়োক
এমন ঘটনা দেশে প্রথমবার। সম্পূর্ণরূপে জলবিদ্যুৎ ও সৌরশক্তির ওপর নির্ভর করে পরিচালিত হচ্ছে দিল্লি বিমানবন্দর। দেশে এই প্রথম কোনও বিমানবন্দর সম্পূর্ণরূপে এই দুই শক্তির ওপর নির্ভর করে চলছে। ২০৩০ সাল পর্যন্ত 'নেট জিরো কার্বন এমিশন' এর লক্ষ্যে এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ফলে যাতে কার্বন নির্গমনের দ্বারা দূষণ না হয় তার জন্য এই দুই শক্তির দ্বারা বিমানবন্দরকে পরিচালিত করা হচ্ছে।
দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, জুনের এক তারিখ থেকেই এই উদ্যোগ তারা নিয়েছে। মূলত, অপ্রচলিত শক্তির বিদ্যুৎকে ব্যবহার করে চলছে বিমানবন্দরের কর্মকাণ্ড। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই বিমানবন্দর চালাতে ৬ শতাংশ বিদ্যুৎ আসছে বিমানবন্দরের চত্বরে রাখা সোলার প্যানেল সিস্টেম দ্বারা। জানা গিয়েছে, ২০৩৬ সাল পর্যন্ত জলবিদ্যুৎ কেনার চুক্তি নিয়ে হিমাচল প্রদেশের এক জলবিদ্যুৎ প্রস্তুতকারি সংস্থার সঙ্গে সংযুক্ত হয়েছে দিল্লি বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।
উল্লেখ্য, ৭.৮৪ সৌরশক্তির প্যানেল রয়েছে বিমানবন্দরে। জানা গিয়েছে অপ্রচলিত এই শক্তি ব্যবহারের ফলে ২ লাখ টন কার্বন নির্গমন কমেছে। ফলে কার্বন নির্গমন ঘিরে যে লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে তা সহজেই পূরণ করা যাবে বলে বিশ্বাস করেন বিমানবন্দরের অনেকেই। 'দিল্লি বিমামবন্দর বহু দিন ধরেই সৌরশক্তি ব্যবহার করছে' বলে জানিয়েছেন বিমানবন্দরের কর্তৃপক্ষ। বিমানবন্দরে সবুজায়ন ঘিরে এক উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যার হাত ধরে সবুজ- পরিবহন, সবুজ-ইমারত সংক্রান্ত নানান পদক্ষেপ গৃহিত হচ্ছে। ইতিমধ্যেই সেখানে ৬২ টি বিদ্যুৎচালিত গাড়ি ব্যবহার করার পদক্ষেপ করা হবে বলে জানা গিয়েছে। যাতে চত্বরে পেট্রোল ও ডিজেল লিত কোনও গাড়ি না থআকে, তার লক্ষ্যে এই কাজ করা হচ্ছে।