ক্ষতের দাগ নেই বলে, নাবালিকার ওপর কোনও ‘পেনাট্রেটিভ সেক্সুয়াল অ্যাসল্ট’ -এর প্রেক্ষাপট তৈরি হয় না, এটা হতে পারে না। সদ্য এক রায় ঘোষণার সময় একথা সাফ জানিয়ে দিয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট। এক, সাড়ে চার বছরের শিশুকে যৌন হেনস্থার অভিযোগে সোমবার দিল্লি হাইকোর্ট এক ব্যক্তিকে ১২ বছরের কারাবাসের সাজা বহাল রাখার নির্দেশ দেওয়ার সময় এই পর্যবেক্ষণ আসে কোর্টের তরফে।
সাড়ে চার বছর বয়সী শিশুকে অপহরণ ও তার যৌন হেনস্থার দায়ে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে ১২ বছরের সাজার রায়কে বহাল রেখে এই মামলায় কোর্ট বড় রায় দিয়েছে। দিল্লি হাইকোর্ট বলছে, নিম্ন আদালতের রায় এই মামলায় একেবারেই দুর্বল নয়। কোর্ট বলছে, দেহে ক্ষত চিহ্ন না থাকলে, সেখানে জোর পূর্বক প্রবেশধর্মী যৌন হেনস্থা হয়নি, এমন প্রেক্ষাপট তৈরি হয় না। এদিকে, ওই ব্যক্তির তরফে কোর্টে সওয়াল-জবাব পর্বে বলা হয়েছিল, নির্যাতিতার গোপনাঙ্গে কোনও ক্ষত নেই। এই বক্তব্য শুনেই কোর্ট বলছে, ট্রায়াল কোর্ট সঠিকভাবে পর্যবেক্ষণ করেছে যে যৌন অপরাধের ক্ষেত্রে গোপনাঙ্গে আঘাত বিভিন্ন কারণের উপর নির্ভর করে, তাদের মধ্যে একটি যেমন সন্নিবেশের গভীরতা। এটা যে সব ক্ষেত্রে একটি আঘাতের চিহ্ন রাখবে তা নয়।' কোর্টের সাফ পর্যবেক্ষণ,'ফলে শুধুমাত্র আঘাতের চিহ্নের অনুপস্থিতি আছে বলে, অনুপ্রবেশমূলক যৌন নিপীড়ন সংঘটিত হয়নি, তা প্রেক্ষাপট হতে পারে না' এই মামলায়। উল্লেখ্য, এই মামলায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পকসো আইনে ধারা ২৯ এ একটি মামলা দায়ের করা হয়। এই মামলায় প্রথম থেকেই কোণঠাসা ছিলেন ওই ব্যক্তি।
( উদ্ভিদ-জাত মাংস এবার আরও রসালো, নেই ফ্যাট! UK-র বাঙালি অধ্যাপিকার গবেষণায় তাবড় সাফল্য)
এই মামলায় অভিযুক্ত আর্জি জানিয়েছিলেন, যাতে তাঁকে দোষী সাব্যস্ত হওয়া থেকে রোখা হয়। আদালত তার আর্জি খারিজ করেছে। উল্লেখ্য, এই ঘটনা ২০১৭ সালের। সেই সময় শিশুটি বাড়ির বাইরে খেলা করছিল। তাকে সেখান থেকে নিয়ে গিয়ে অপহরণ করে অপরাধী। এরপর শিশুর খোঁজ করতে গিয়ে তাকে পড়শির বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়। শিশুর অসুস্থ অবস্থা দেখেই সন্দেহ হয় অভিভাবকদের। তাঁরা পুলিশের দ্বারস্থ হন। এরপরই এগোয় তদন্ত। মামলা যায় কোর্টে। সেই মামলায় এল এই বড়সড় পর্যবেক্ষণ।