এবার গোরক্ষনাথ মন্দিরের কাছে থাকা মুসলিম পরিবারগুলিকে অন্যত্র সরে যাওয়ার নির্দেশ দিল রাজ্য সরকার।নিরাপত্তার কারণেই এই সিদ্ধান্ত বলে প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে।যদিও এই সিদ্ধান্তকে মোটেও ভালো চোখে দেখছে না মন্দিরের কাছে থাকা মুসলিম পরিবারের একাংশ।
জানা গিয়েছে, ১১টি মুসলিম পরিবারের মধ্যে ৯টি পরিবার তাদের বাড়ি ও জমি রাজ্য সরকারকে হস্তান্তর করতে রাজি হলেও ২টি পরিবার রাজি হয়নি। তারা জেলা প্রশাসনের দেওয়া ক্ষতিপূরণ নিতে ও বিকল্প জমি নিতে রাজি হচ্ছে না।গোরক্ষপুরের জেলা শাসক কে বিজেন্দ্র পান্ধিয়ান জানিয়েছেন, জেলা প্রশাসনের তরফে তাদের বাড়ি ছেড়ে দেওয়ার ব্যাপারে কোনও জোর করা হয়নি।ওই সব পরিবারের পূর্ণ সম্মতি নিয়েই সম্পত্তি নিজেদের অধীনে নেবে জেলা প্রশাসন।রাজ্য সরকারের নির্দেশ মতোই ওই সব বাড়ি খালি করে দেওয়ার নির্দেশ করা হয়েছে।নিরাপত্তা সংস্থার রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করেই রাজ্য সরকার ওই সব বাড়ি খালি করার নির্দেশ দিয়েছে।যে সব পরিবারকে অন্যত্র সরে যেতে হচ্ছে, তাদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দেবে রাজ্য সরকার।জেলা প্রশাসনের তরফে তাঁদের থাকার জন্য বিকল্প ব্যবস্থা করা হবে।এই সব পরিবারকে অন্যত্র সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তকে ধর্মীয় দৃ্ষ্টিকোণ দিয়ে দেখা ঠিক হবে না।
জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, মন্দির প্রাঙ্গন এলাকায় দক্ষিণ পূর্ব এলাকায় গোরক্ষনাথ মন্দিরের বরাবর এলাকায় ওই ১১টি মুসলিম পরিবারের বাস ছিল।উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ যখন গোরক্ষপুরে আসেন, তখন এই মন্দির প্রাঙ্গন এলাকায় বাসভবনে থাকেন।সেদিক থেকে বিচার করলে এই এলাকাটি নিরাপত্তা জোর করার ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জায়গা বলেই মনে করা হচ্ছে।এই প্রসঙ্গে পুলিশ সুপার জানান, ওই এলাকায যে ধর্মীয় স্থানটি রয়েছে, সেটিকে স্থানা্ন্তরের কোনও প্রশ্নই নেই।আসলে যারা এই এলাকার শান্তি ও সম্প্রীতি নষ্ট করার চেষ্টা করছে, সেই সব সমাজবিরোধীদের কথা মাথায় রেখেই এই কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।