কংগ্রেস নেতা ধীরাজ সাহুর বাড়িতে উদ্ধার হয়েছে টাকার পাহাড়। এখন সেই টাকার অঙ্ক ৩০০ কোটি ছাড়িয়েছে। ইডি-র এই তল্লাশির মধ্যেই বিজেপিকে কটাক্ষ করলেন শিবসেনা (ইউবিটি) সাংসদ প্রিয়াঙ্কা চর্তুবেদী। গেরুয়া শিবিরের উদ্দেশ্যে তাঁরা বার্তা, সাহু যদি বিজেপিতে যোগ দেন তবে তাঁকে যেন ‘ক্লিনচিট’ না দেওয়া হয়। এ ব্যাপারে তারা যেন ‘দেশবাসী’কে আশ্বস্ত করে।
কেন এমন বললেন প্রিয়াঙ্কা? তার জবাব দিয়েছেন তিনি। মহারাষ্ট্রে ৭০ হাজার কোটি টাকার সেচ কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত অজিত পাওয়ার-সহ এনসিপি নেতাদের প্রসঙ্গ তোলেন তিনি। প্রিয়াঙ্কার দাবি, এই এনসিপি নেতারা দল থেকে আলাদা হয়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। তার পর তাঁদের ইডি, আয়কর দফতরের সব তদন্ত বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এ ক্ষেত্রে যেন তেমনটা না হয় তা বিজেপি নিশ্চিত করতে বলেছেন শিবসেনা (ইউবিটি) সাংসদ।
তিনি বলেন, ‘কংগ্রেসকে দুর্নীতিগ্রস্ত বলার আগে বিজেপির আগে দেশকে আশ্বত করা উচিত, এই দুর্নীতিবাজরা যদি তাদের দলে যোগ দেয় তবে পাপমুক্ত করে দেওয়া হবে না।’
আয়কর দফতর ওড়িশার বালাঙ্গিরে সাহুর মালিকাধীন একাধিক সংস্থা এবং তার বাড়িতে হানা দিয়ে এখনও পর্যন্ত ৩০০ কোটি টাকারও বেশি নগদ উদ্ধার করা হয়েছে। আয়কর দফতর মনে করছে ৩৫০ কোটি টাকা উদ্ধার হতে পারে।
কংগ্রেস নেতা কাছ থেকে নগদ উদ্ধারের পর সুর চড়া করেছে বিজেপি। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর কাছে তারা এর উত্তর চেয়েছে।
লোক জনশক্তি পার্টি (রাম বিলাস) সাংসদ চিরাগ পাসওয়ান বলেন, ‘এস বিরোধী পুরনো অভ্যাস। প্রথম তারা দুর্নীতি করবে। ধরা পড়লে তাকে এড়ানোর চেষ্টা করবে। এর সঙ্গে কারা কারা জড়িত তা খুঁজে বার করতে হবে। দোষীদের বিরুদ্ধেও তদন্ত করতে হবে। ’ লোক জনশক্তি পার্টি (রাম বিলাস) বিজেপির সঙ্গে এনডিএ-তে আছে।
প্রসঙ্গত, ধীরজ সাহুর অফিস থেকে বিপুল পরিমাণে টাকা উদ্ধারের পর মুখ খোলেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ। তিনি বলেন, 'ধীরজ সাহুর ব্যবসার সঙ্গে কংগ্রেস কোনও ভাবে জড়িত নয়। এই বিপুল পরিমাণ বাজেয়াপ্ত অর্থ নিয়ে একমাত্র তিনিই বলতে পারবেন। তাঁর সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন জায়গা থেকেই আয়কর দফতর এই টাকা উদ্ধার করেছে।' উল্লেখ্য, ধীরজ সাহু এবং তাঁর পরিবারের সঙ্গে কংগ্রেসের যোগ দীর্ঘ কয়েক দশকের। সেই কংগ্রেসই এখন ধীরজকে ঝেড়ে ফেলে দিল।