কোনও মহিলা হয়তো লিভ ইন সম্পর্কে রয়েছেন। তিনি কি গার্হস্থ্য হিংসার অভিযোগ আনতে পারেন? কেরল হাইকোর্ট সম্প্রতি তাদের পর্যবেক্ষণে জানিয়েছে, কোনও নারী যদি লিভ ইন সম্পর্কে থাকেন তবে তিনিও ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স অ্য়াক্ট অনুসারে ডোমেস্টিক ভায়োলেন্সের মামলা দায়ের করতে পারেন।
বার অ্যান্ড বেঞ্চের প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, বিচারপতি অনিল কে নরেন্দ্রন ও বিচারপতি পিজি অজিত কুমারের পর্যবেক্ষণ কোনও পুরুষ যদি কোনও নারীর উপর অত্যাচার করেন আর সেই নারী যদি লিভ ইন সম্পর্কেও থাকেন তবেও ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স অ্যাক্ট অনুসারে তিনি মামলা দায়ের করতে পারেন।
বিচারপতিদের বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, এই অ্যাক্ট অনুসারে ডোমেস্টিক রিলেশনশিপ বা গার্হস্থ্য সম্পর্ক বলতে যাঁরা একসঙ্গে বাস করেন বা কোনও একটা সময় একসঙ্গে বাস করতেন, একই জায়গায় থাকতেন, বিয়ে অথবা অন্য কোনও সম্পর্কের মাধ্য়মে তাঁরা থাকতেন একই সঙ্গে অথবা যৌথ পরিবারের অংশ হিসাবে তারা থাকেন।
আদালতের পর্যবেক্ষণ, এই ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স অ্যাক্ট অনুসারে কোনও মহিলা একাই পুরুষ সঙ্গীর স্বস্তির জন্য আবেদন করতে পারেন। আর বিয়ের মতো সম্পর্কে থাকেন কোনও মহিলা তিনিও স্বস্তি পাওয়ার জন্য এই আইন অনুসারে আবেদন করতে পারেন।
সূত্রের খবর, এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে ডিভি অ্য়াক্টের ১২ নম্বর ধারায় মামলা হয়েছিল। তিনি মামলাটিকে পারিবারিক আদালতের নিয়ে যেতে চেয়ে আবেদন করেন। তবে আদালতের পর্যবেক্ষণ যদি মামলাটি পারিবারিক আদালতে ট্রান্সফার করা হয় তবে সেটা ঠিক হবে না। কারণ পারিবারিক আদালতের শুধু বিয়ের সম্পর্কে জটিলতা থাকলে সেটাই বিচার করার অধিকার রয়েছে।
সেক্ষেত্রে আদালতের পর্যবেক্ষণ এই মামলাটি পারিবারিক আদালতের পাঠানো যাবে না। কারণ ওই মহিলা লিভ ইন রিলেশনশিপে রয়েছেন। এরপরই ওই ব্যক্তির আবেদনটি নাকচ করে দেওয়া হয়।
আদালতের পর্যবেক্ষণ ডোমেস্টিক ভায়োলেন্সের ১২ নম্বর ধারায় কোনও মামলা হলে সেটা ম্যাজিস্ট্রেট থেকে পারিবারিক আদালতের নিয়ে যাওয়াটা ঠিক হবে না।