কোভিড আতঙ্ক দূরে সরিয়ে কয়েকদিন আগেই স্কুল খুলেছিল দিল্লিতে। তবে খোলার কয়েকদিনের মধ্যেই ফের বন্ধ হল স্কুলের দরজা। এবার অবশ্য আতঙ্কের নাম দূষণ। রাজধানীতে দূষণের মাত্রা এখনও যথেষ্ঠ খারাপ পর্যায়ে রয়েছে। এর জেরে দিল্লির সমস্ত স্কুলগুলি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিল অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সরকার।
বর্তমানে রাজধানীতে পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে দূষণের জেরে বাইরে বের হলেই চোখ জ্বালা করছে। কিছুক্ষণ নিশ্বাস নিলেই কাশি হচ্ছে। বহু দিল্লিবাসীর ফুসফুসের জটিল রোগ ধরা পড়েছে। এই আবহে দিল্লি দূষণের বিষয়টি শীর্ষ আদালতের কোর্টে গড়ায়। রাজ্য ও কেন্দ্র নানা পদক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টাও করে। তবে সাধারণ মানুষ দিল্লির বাতাসে থাকা বিষের থেকে রেহাই পাননি। বিগত বহু বছর ধরেই শীতকালীন দিল্লির এটাই চেনা চিত্র। এই আবহে দিল্লি ও এনসিআর নিয়ে বায়ু সূচক নিয়ন্ত্রক কমিশন দিল্লি, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ এবং রাজস্থান সরকারের আধিকারিকদের সঙ্গে বায়ুদূষণ নিয়ে বৈঠক করে।
এর আগে দূষণের মাত্রা কমাতে দিল্লির ৩০০ কিলোমিটারের মধ্যে থাকা ১১টি থার্মাল পাওয়ার প্লান্টের মধ্যে মাত্র ৬টি প্লান্ট বন্ধ রাখা হয় ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত। পাশাপাশি দিল্লি ও এনসিআর এলাকায় নির্মাণ শিল্প এবং ভাঙাচোরার কাজ বন্ধ রাখতে বলা হয়েছিল। জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত নয় এমন বড় গাড়ি, যেমন ট্রাক ও ট্রেলারের দিল্লিতে ঢোকার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। সেই সঙ্গে জাতীয় রাজধানী সংলগ্ন রাজ্যগুলির সরকারকে তাদের 50 শতাংশ কর্মীদের বাড়ি থেকে কাজ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলিকেও এই নির্দেশ মানার জন্য অনুরোধ করতে বলা হয়। প্রসঙ্গত, বছরের পর বছর দিল্লিতে দূষণ যে ভাবে বেড়ে চলেছে, তাতে উদ্বেগ ছড়িয়েছে গোটা দেশে। কৃষিপ্রধান দুই প্রতিবেশী রাজ্য, পঞ্জাব এবং হরিয়ানাকে এর জন্য অনেকাংশে দায়ী করা হয়ে থাকে। শীতের আগে সেখানে ফসলের গোড়া পোড়ানোয় দিল্লি ধোঁয়ায় ঢেকে যায় এবং তাতে বাতাস আরও বিষাক্ত হয়ে ওঠে বলে অভিযোগ।