পাকিস্তানে নির্যাতিত প্রতিটি হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, খ্রীষ্টান ও জৈনকে ভারতীয় নাগরিকত্ব না-দেওয়া পর্যন্ত বিশ্রাম নেবে না কেন্দ্রীয় সরকার। ভারতের ওপরে আমার আপনার অধিকার আর এদের অধিকার সমান। রবিবার মধ্যপ্রদেশের জব্বলপুলে CAA-র সমর্থনে এক জনসভায় এমনটাই বললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সঙ্গে তাঁর হুঁশিয়ারি, দেশবিরোধী কাজ যারা করছে তাদের জেলে যেতেই হবে।
এদিন অমিত শাহ বলেন, যতদিন না পাকিস্তানে অত্যাচারিত প্রত্যেককে আমরা নাগরিকত্ব দিতে পারছি, আমরা বিশ্রাম নেব না। কেউ আমাদের এই কাজ থেকে রুখতে পারবে না। কংগ্রেসের লোকেরা কান খুলে শুনে নেও। তোমরা যতই বিরোধিতা করো না কেন, আমরা থেমে যাওয়ার বান্দা নই।
কংগ্রেসকে খোঁচা দিয়ে শাহ বলেন, ‘কংগ্রেস নেতা কপিল সিবাল অযোধ্যায় রামমন্দির তৈরির বিরোধিতা করেছিলেন। কিন্তু ৪ মাসের মধ্যে আমরা সেখানে রামমন্দির তৈরি করব।’
কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে শাহের খোঁচা, ‘ক্ষমতা থাকলে CAA-তে কারও নাগরিকত্ব যেতে পারে এমন একটি ধারা দেখান।’ এক কদম এগিয়ে শাহ বলেন, ‘যারা ধর্মের ভিত্তিতে দেশ ভাগ করেছিল তারাই এখন CAA-র বিরোধিতা করছে।’
একই সঙ্গে এদিন জেএনইউ-তে ভাঙচুরের জন্য বামপন্থী ছাত্রদের দায়ী করেন অমিত শাহ। তিনি বলেন, যারা দেশবিরোধী কাজ করবে আর যারা তাদের মদত দেবে তাদের জেলে যেতেই হবে।
গত মাসে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল সংসদে পাশ হওয়ার পর থেকেই কোমর বেঁধে ময়দানে নেমেছে বামেরা। বিক্ষোভে উত্তাল হয়েছে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত। এরই মধ্যে গত ৫ জানুয়ারি দিল্লির জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীবাসে হামলা চালায় মুখোস পরা একদল দুষ্কৃতী। দুষ্কৃতীদের মারে গুরুতর আহত হন ছাত্র সংসদের সভানেত্রী ঐশী ঘোষ।