উদ্ধব ঠাকরের পদত্যাগে বিনা আস্থা ভোটেই সরকার গঠন করেছে বিজেপি এবং একনাথ শিন্ডে। এই আবহে এবার শিন্ডের সামনে নিজের সরকারের সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের পরীক্ষা। এর জন্য ৩ এবং ৪ জুলাই মহারাষ্ট্র বিধানসভার বিশেষ অধিবেশন ডাকা হয়েছে। ৩ জুলাই বিধানসভার স্পিকার নির্বাচন হবে। এরপর দিন ৪ জুলাই অনুষ্ঠিত হবে আস্থা ভোট। সেদিন নিজের সরকারের সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে হবে একনাথ শিন্ডে এবং দেবেন্দ্র ফড়ণবীসকে।
গতকাল সবাইকে চমকে দিয়ে একনাথ শিন্ডেকে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ঘোষণা করেন দেবেন্দ্র ফড়ণবীস। দুপুরে দুই নেতা একসঙ্গে রাজ্যপাল ভগৎ সিং কোশিয়ারির সঙ্গে দেখা করার পর একটি সাংবাদিক সম্মেলনে ফড়ণবীস ঘোষণা করেন উদ্ধবের পরে মহারাষ্ট্রের মসনদে বসবেন একনাথ শিন্ডে। এরপর তিনি জানান, এই সরকারের অংশ হবেন না তিনি। যদিও পরবর্তীতে দলের কেন্দ্রীয় নেতৃ্ত্বের নির্দেশে দেবেন্দ্র ফড়ণবীস উপমুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেন। বর্তমানে শিন্ডে গোষ্ঠীর সঙ্গে শিবসেনার ৩৯ জন বিধায়ক রয়েছেন। বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা ১০৬। তাছাড়াও আরও অন্তত ২০ জন নির্দল প্রার্থী সমর্থন জানাচ্ছে এই সরকারকে। বর্তমানে মহারাষ্ট্রের ম্যাজিক ফিগার ১৪৪। সেই সংখ্যা অনায়াসে পার করে যাওয়ার কথা বিজেপি, শিন্ডে গোষ্ঠী জোটের।
এদিকে এদিনই একনাথ শিন্ডে সহ ১৫ বিধায়ককে আপাতত সাসপেন্ড করার জন্য আবেদন জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় উদ্ধবপন্থী শিবসেনা শিবির। শিবসেনার তরফে চিফ হুইপ সুনীল প্রভু মামলা দায়ের করে আবেদন জানান যাতে একনাথ শিন্ডেদের আপাতত বিধানসভায় প্রবেশের অনুমতি না দেওয়া হয়। তবে শিবসেনার সেই আর্জি খারিজ করে দেয় শীর্ষ আদালত। উল্লেখ্য, এই ১৬ বিধায়কের বিরুদ্ধে অযোগ্যতার নোটিশ জারি করা হয়। সেই প্রেক্ষিতে আগামী ১১ জুলাই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে। সেদিনই এই বিষয়টি দেখা হবে বলে জানায় শীর্ষ আদালত।