আবার এক ছাত্রীর মর্মান্তিক পরিণতি। ব্যাচেলার অফ ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের প্রথম বর্ষের এক ছাত্রীর অস্বাভাবিক মৃত্যুকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরের ঘটনা। স্থানীয় সূত্রে খবর, হিন্দি মিডিয়ামের ছাত্রী বলে তাঁকে নানাভাবে অপদস্থ করা হত। তার জেরেই ভেঙে পড়েছিলেন তিনি।
পুলিশ ওই ছাত্রীর দেহের পাশ থেকে একটি সুইসাইড নোট পেয়েছে।সেখানে কিছু কথা লিখেছেন তিনি। পুলিশ ও একাধিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, তিনি দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত হিন্দি মিডিয়াম স্কুলে পড়াশোনা করেছেন। এরপর তিনি একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ভর্তি হন। কিন্তু সেখানে ভর্তি হওয়ার পরে তার সঙ্গে নানা রসিকতা করা হত। তিনি হিন্দি মিডিয়ামের ছাত্রী ছিলেন বলে তার সঙ্গে এই ধরনের মজা করা হত। এতে কিছুটা ভেঙে পড়েছিলেন তিনি। এরপর প্রথম সেমেস্টারের পরীক্ষার পরে তিনি পাঁচটি বিষয়ে অকৃতকার্য হন। তারপর তিনি চরম সিদ্ধান্ত নেন।
পুলিশ এনিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জেনেছে, ওই ছাত্রী একটি নোট লিখে গিয়েছেন। সেখানে লেখা রয়েছে তিনি ভালো ইংরেজি জানতেন না। হিন্দি মিডিয়ামের ছাত্রী বলে তাকে নিয়ে অনেকেই মজা করত। এদিকে তিনি প্রথম সেমেস্টারের পাঁচটি বিষয়ের পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়েছিলেন। এরপরই তিনি চরম সিদ্ধান্ত নেন।
হস্টেলে থেকে পড়াশোনা করতেন তিনি। কিন্তু পরীক্ষার ফলাফল বের হওয়ার পর থেকেই মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন তিনি। তিনি ক্লাসে যেতে চাইছিলেন না। তিনি বলেছিলেন ভালো লাগছে না কিছুই। পরে রুমমেটরা এসে দেখেন ঘরের সিলিং ফ্য়ান থেকে ওই ছাত্রীর দেহটি ঝুলছে।
পুলিশ দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। কিন্তু এভাবে একজন ছাত্রীকে ভালো করে ইংরেজি না জানার জন্য অপদস্থ করা, হিন্দি মিডিয়ামের ছাত্রী বলে মজা করা, আর তার পরিণতি যে এমন ভয়াবহ হতে পারে তা ভাবতে পারছেন না কেউই। আপাতত মৃতের পরিবারকে খবর দেওয়া হয়েছে।
তবে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্বাভাবিকভাবে একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। অনেকের মতে মাতৃভাষায় যাতে উচ্চশিক্ষা নেওয়া যায় তার জন্য সরকারও চেষ্টা চালাচ্ছে। সেক্ষেত্রে একজন ছাত্রীকে কেন শুধু হিন্দি মিডিয়ামের ছাত্রী বলে মজা করা হত তা নিয়ে প্রশ্নটা থেকেই গিয়েছে।