রাষ্ট্রসংঘের সভায় ২০২০ সালের পুনরাবৃত্তি ঘটালেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়িপ এর্দোগান। টানা দ্বিতীয়বার রাষ্ট্রসংঘে কাশ্মীর ইস্যু উত্থাপন করে বন্ধু পাকিস্তানের পক্ষ নিল তুরস্ক। পাকিস্তানের কাশ্মীর নীতির পথে হেঁটে বারংবার কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে সরব হচ্ছেন এর্দোগান। 'বন্ধু' পাকিস্তানের সঙ্গে সুর মিলিয়ে বিভিন্ন সময়ে কাশ্মীর নিয়ে সরব হতে দেখা গিয়েছে এর্দোগানকে। এর আগে ২০১৯ সালে জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের বিরোধিতা করেছিল তুরস্ক।
এদিকে কাশ্মীর নিয়ে এর্দোগানের বার্তার পর পালটা খোঁচা দিতে ছাড়েননি ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর। সাইপ্রাস ইস্যু মনে করিয়ে তিনি বলেন যে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে গৃহীত সাইপ্রাস রেজোলিউশন মেনে চলা উচিত সবার। উল্লেখ্য, ১৯৭৪ সালে গ্রিসের সামরিক শাসকরা সাইপ্রাসে অভ্যুত্থান ঘটায়। তার প্রতিক্রিয়ায় উত্তর সাইপ্রাস অভিযান করে তুরস্ক। রাষ্ট্রসংঘ তুরস্কের সেই অভিযানকে বেআইনি আখ্যা দেয়। ১৯৮৩ সালে টার্কিশ রিপাবলিক অফ নর্দান সাইপ্রাসের গঠনের ঘোষণা হয়। যদিও আন্তর্জাতিক আইনে এর স্বীকৃতি নেই। একমাত্র তুরস্ক ছাড়া আর কোনো দেশ উত্তর সাইপ্রাসকে স্বীকৃতি দেয়নি। বর্তমানে এর্দোগানের দাবি, গ্রিক প্রধান দক্ষিণ সাইপ্রাস ও তুর্কিদের প্রাধান উত্তর সাইপ্রাস আলাদা দেশ হোক।
এদিকে এদিন রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায় ভাষণ রাখার সময় গোটা বিশ্বে মুসলিমদের দুর্দশার কথা তুলে ধরে কাশ্মীর সমস্যা সমাধানের কথা বলেন এর্দোগান। এর আগে ২০২০ সালে রাষ্ট্রসংঘের ৭৫তম বার্ষিকী উপলক্ষে বিশেষ অধিবেশনে ভিডিয়ো বার্তায় এর্দোগান কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা খারিজ করার বিরোধিতা করেছিলেন। এদিকে নিজের ভাষণে চিনকে উইঘুর মুসলিমদের রক্ষা করতে বলেন এর্দোগান।