কংগ্রেস কাউন্সিলরের কন্য়াকে কুপিয়ে খুন। কর্ণাটকের হুব্বালি ধারওয়াড় মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের কাউন্সিলর তিনি। বৃহস্পতিবার একেবারে কলেজ ক্যাম্পাসের মধ্য়েই ওই কন্যাকে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ওই তরুণীর নাম নেহা হিরেমঠ। তার বয়স ২১ বছর। তিনি নিরঞ্জন হীরেমঠের সন্তান। তারই এক সহপাঠীর বিরুদ্ধে খুন করার অভিযোগ উঠেছে। সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে গোটা দৃশ্য। সেখানে দেখা গিয়েছে বার বার ছুরি দিয়ে আঘাত করা হচ্ছে। এরপর সে এলাকা ছেড়ে পালায়। কিন্তু কেন সে এভাবে তাকে খুন করল তা নিয়ে এখনও পরিস্কার নয়।
তবে আপাতত অভিযুক্ত ফৈয়জকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
কেএলই টেকনিকাল বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি এমসিএর ছাত্রী ছিলেন। প্রথম বর্ষে পড়তেন। সেখানেই তাকে খুন করা হয়। পুলিশ ইতিমধ্য়েই তদন্ত শুরু করেছে।
কিন্তু এই ফৈয়জ কে? সূত্রের খবর, মাস ছয়েক আগে সে কলেজ যাওয়া ছেড়ে দিয়েছিল। সে একটি পরীক্ষায় ফেল করার পরে আর কলেজ যেত না। তার বাবা সরকারি স্কুলের শিক্ষক। বৃহস্পতিবার সে কলেজে এসেছিল। সেখানে সে ছুরি নিয়ে আসে। এরপর সে নেহাকে মারতে থাকে। তবে স্থানীয় কয়েকজন তাকে এই খুনের ঘটনায় সহায়তা করেছিল বলে খবর। পুলিশ তাকে আটক করেছে। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
কেন তাকে খুন করা হয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই খুনের পেছনে প্রেমের কোনও বিষয় রয়েছে কি না সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এদিকে এই ঘটনায় অনেকে বহরমপুরে প্রেমিকাকে খুন করার ছায়া দেখতে পাচ্ছেন।
কয়েক মাস আগে বহরমপুর গোরবাজারে সুতপা নামে এক তরুণীকে খুন করা হয়েছিল। খুনের যে ভিডিয়ো ছড়িয়েছে, তাতে দেখা গিয়েছে যে রাস্তায় পড়ে কাতরাচ্ছেন সুতপা। তাঁকে একের পর এক কোপ মারছেন সুশান্ত নামে এক যুবক। প্রত্যক্ষদর্শীরা কথা বলার চেষ্টা করলেও সুতপা ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে বিষোদগার করতে থাকে সুশান্ত। পরে রাত ১০ টা নাগাদ তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পুলিশের দাবি, সুশান্তের ফোন থেকে খুনের একাধিক ভিডিয়ো মিলেছে। জেরায় ধৃত জানিয়েছে, গত বছর ফেব্রুয়ারিতে সুতপার সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল। মন্দিরে গিয়ে বিয়ে করেছিল সুতপাকে। কিন্তু অপর একজনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা তৈরি হওয়ায় সম্প্রতি সম্পর্ক ভেঙে দিতে চাইছিলেন। তাই 'প্রতিশোধ' নিতেই সুতপাকে খুন করে বলে জেরায় স্বীকার করেছে সুশান্ত।