উচ্চ রক্তচাপের কারণে অসুস্থতা। একদিন কারাগারে থাকার পর হাসপাতালে ভর্তি করা হল SBI-এর প্রাক্তন চেয়ারম্যান প্রতীপ চৌধুরীকে। ঋণ কেলেঙ্কারির অভিযোগে সম্প্রতি তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। আপাতত জয়পুরের জওহর হাসপাতালে ভর্তি তিনি।
হোটেল বিক্রির সময়ে ঋণ খেলাপিতে জড়িত থাকার অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। সোমবার প্রতীপ চৌধুরীকে ১৪ দিনের বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়েছিল।
অভিযোগ, অ্যালকেমিস্টকে ২৫ কোটি টাকায় ২০০ কোটি টাকার হোটেল-সম্পত্তি বিক্রি করেছিল SBI। প্রসঙ্গত, অবসরের পর এই অ্যালকেমিস্ট ARC-র বোর্ডেই যোগ দেন প্রতীপ চৌধুরী।
এই দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত অ্যালকেমিস্ট কর্তা অলোক ধীর পলাতক বলে জানিয়েছে পুলিশ।
একটি বিবৃতিতে, এসবিআই বলেছে, 'ARC-কে উল্লিখিত বিক্রি করার সময়ে সমস্ত যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়েছিল।' পুলিশি পদক্ষেপে ব্যাঙ্কাররা তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। এসবিআইয়ের আরেক প্রাক্তন চেয়ারম্যান রজনীশ কুমার বলেন, 'মিস্টার চৌধুরীর গ্রেপ্তারিতে গোটা ব্যাঙ্কিং ইন্ডাস্ট্রি ক্ষুব্ধ। এটা ঠিক হচ্ছে না। এ ক্ষেত্রে কোনো দুর্নীতি নেই। ব্যাঙ্কিং ইন্ডাস্ট্রির সবাই তা জানে।'
পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের এক সিনিয়র ব্যাঙ্কার(নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) বলেন, ‘যেখানে জালিয়াতি ধরার জন্য এতগুলি কমিটি রয়েছে, সেখানে আপনি কীভাবে একা চেয়ারম্যানকে গ্রেফতার করতে পারেন? বিচার বিভাগীয় পদক্ষেপ উদ্বেগজনক।’
দায়ের করা মামলায় প্রতীপ চৌধুরীর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪২০(প্রতারণা এবং অসাধুভাবে সম্পত্তি বিতরণে প্ররোচিত করা), ৪০৯(সরকারি কর্মচারী, বা ব্যাঙ্কার, বিক্রেতা বা এজেন্ট দ্বারা বিশ্বাস লঙ্ঘন) এবং ১২০বি (ফৌজদারি ষড়যন্ত্র) ধারায় অভিযোগ রয়েছে।