নির্বাচনী খয়রাতি মামলা নিয়ে এদিন গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ উঠে আসে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এমভি রামানার বেঞ্চের তরফে। এই মামলার জটিলতাকে প্রেক্ষাপটে রেখে তা তিন বিচারপতির তত্ত্বাবধানে থাকা বেঞ্চে ‘রেফার’ করা হয়েছে। উল্লেখ্য, আজ ২৬ অগস্ট সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এমভি রমনার পদ থেকে অবসর গ্রহণের দিন। তার আগে খয়রাতি নিয়ে হাইভোল্টেজ মামলায় নিজের গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণের কথা জানাল সুপ্রিম কোর্ট।
প্রধান বিচারপতি এমভি রমনার নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ এদিন তার পর্যবেক্ষণে জানিয়েছে, ‘এটা অস্বীকার করা যায় না যে নির্বাচনী গণতন্ত্রে, মূল ক্ষমতা তাঁদের হাতেই থাকে যাঁরা নির্বাচন করছেন, এবং নির্বাচন করা হচ্ছে যে দলগুলি ও প্রার্থীদের। ’ আদালত এই বিষয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে তুলে ধরে ২০১৩ সালের একটি মামলার কথা। যে মামলা এস সুব্রহ্মণ্যম বালাজি বনাম তামিলনাড়ু সরকারের ছিল এবং অন্যান্য ক্ষেত্রেও এই প্রসঙ্গ নিয়ে আলোচনার কথা তোলে আদালত। সেই প্রসঙ্গ তুলে নতুন করে তিনজন বিচারপতি বিশিষ্ট একটি বেঞ্চের কাছে এই মামলা ‘রেফার’ করা হয়। লিজের কাছে হারলে কি 'ট্রুস মন্ত্রিসভা'য় থেকে যাবেন ঋষি? কী বললেন সুনাক!
উল্লেখ্য, এর আগে সুপ্রিম কোর্টের দুজন বিচারপতির বেঞ্চ এই বিষয় সংক্রান্ত অন্য এক মামলায় রায় দিয়েছিল। সেই মামলায়, আদালত ১২৩ ধারার আওতায় ‘রিপ্রেজেন্টেশন অফ পিপলস অ্যাক্ট’ কে সামনে তুলে ধরেছিল। মামলায় বলা হয়েছিল, নির্বাচনী ইস্তেহারের প্রতিশ্রুতি ১২৩ ধারার আওতায় আসছে না যাতে এই অভ্যাসকে দুর্নীতিমূলক ঘোষণা করা যায়। সেই জায়গা থেকে বর্তমান মামলা কোনদিকে এগোয় সেদিকে তাকিয়ে গোটা দেশ।