বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > G20 Summit: বাংলার সর্ষে আর বাজরার ঠেকুয়া চেখে দেখলেন বিদেশি অতিথিদের স্ত্রীরা, বাসমতি দেখে হতবাক ব্রিটেনের ফার্স্ট লেডি

G20 Summit: বাংলার সর্ষে আর বাজরার ঠেকুয়া চেখে দেখলেন বিদেশি অতিথিদের স্ত্রীরা, বাসমতি দেখে হতবাক ব্রিটেনের ফার্স্ট লেডি

ন্যাশানাল গ্যালারি অফ মর্ডার্ন আর্ট ঘুরে দেখছেন রাষ্ট্রপ্রধানদের স্ত্রী বা সঙ্গিনীরা।  (ANI Photo) (ANI/PIB)

আবহাওয়ার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে পারে এমন একাধিক ফসলের চাষ তাঁরা ঘুরে দেখেন। তাঁরা ন্যাশানাল এগ্রিকালচার সায়েন্স সেন্টারের রঙ্গোলি এলাকায় যান।সেখানে মিলেট রঙ্গোলির ব্যবস্থা করা হয়েছিল। বাসমতি চালের সুগন্ধি অনুভব করেছেন তাঁরা।

আমন সিং

জি-২০ সম্মেলন উপলক্ষ্যে বহু বিদেশি অতিথি সস্ত্রীক এসেছেন ভারতে। একদিকে সেই রাষ্ট্রপ্রধানরা যখন গোটা বিশ্বের নানা পলিসি নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছেন তখন তাঁদের স্ত্রীরা ভারতের চাষ আবাদ ঘুরে দেখলেন। চেখে দেখলেন ভারতের রান্না। নিউ দিল্লির পুসাতে ১২০০ একরের পুসা ইন্ডিয়ান এগ্রিকালচারাল রিসার্চ ইনস্টিটিউট ঘুরে দেখলেন। প্রায় ২০০ মিটার এলাকা জুড়ে এগ্রি স্ট্রিট তৈরি করা হয়েছিল। সেখানে ভারতের কৃষি ব্যবস্থার নানা বিবর্তনকে তুলে ধরা হয়। সেসব ঘুরে দেখলেন তাঁরা।

এরপর তাঁরা ন্যাশানাল গ্যালারি অফ মডার্ন আর্ট তাঁরা ঘুরে দেখেন। সেখানে নানা ধরনের ভারতীয় নাচের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। সেই সব তাঁরা উপভোগ করেন। প্রায় ৮০০ ঘুড়ি দিয়ে সাজানো হয়েছিল এই জায়গাটি। অত্যন্ত দৃষ্টিনন্দনভাবে হাজির করা হয়েছিল এই জায়গাটিকে।

মূলত এই জি২০- সামিটের মাধ্য়মে ঐতিহ্যকে রক্ষা করেও ভারত কীভাবে ক্রমেই প্রযুক্তি সু উচ্চ চূড়ার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে সেটাই তুলে ধরা হয়েছে।

পুসা রিসার্চ ইনস্টিটিউটের অধিকর্তা অশোক কুমার সিং জানিয়েছেন, ভারত কীভাবে কৃষি ক্ষেত্রে প্রভূত উন্নতি লাভ করেছে সেটাই রাষ্ট্রপ্রধানদের স্ত্রীদের কাছে তুলে ধরা হয়েছে। বিশ্ব খাদ্য সুরক্ষা ও পুষ্টি সংক্রান্ত সুরক্ষার ক্ষেত্রে ভারত কতটা পিলারের মতো কাজ করছে সেটাও তুলে ধরা হয়েছে। ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের স্ত্রী কায়কো জয়শঙ্কর তাঁদেরকে অভ্যর্থনা জানান।

যাঁরা পুসাতে গিয়েছিলেন তাঁদের মধ্য়ে ছিলেন ব্রিটেনের ফার্স্ট লেডি অক্ষতা মূর্তি, অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রীর স্ত্রী কারমেল টেবুট, মরিশাসের ফার্স্ট লেডি কবিতা কামদানি, জাপানের ফার্স্ট লেডি ইউকু কিশিদা, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট ও ফার্স্ট লেডি ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের প্রধান উরসুলা ভন ডের লায়ারের স্বামী। মূলত বাজরা চাষের নানা দিক তাঁরা ঘুরে দেখেন।

আবহাওয়ার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে পারে এমন একাধিক ফসলের চাষ তাঁরা ঘুরে দেখেন। তাঁরা ন্যাশানাল এগ্রিকালচার সায়েন্স সেন্টারের রঙ্গোলি এলাকায় যান।সেখানে মিলেট রঙ্গোলির ব্যবস্থা করা হয়েছিল। বাসমতি চালের সুগন্ধি অনুভব করেছেন তাঁরা।

ব্রিটেনের ফার্স্ট লেডি অক্ষতা মূর্তি বাসমতি চাল রান্নার পরে কীভাবে চারগুণ পর্যন্ত বেড়ে যায় সেটা দেখে অবাক হয়ে যান। কুনাল কাপুরের মতো শেফরা তাঁদের মিলেট রান্না করে খাওয়ান। জোয়ার মাশরুম খিচুড়ি, বাজরার ঠেকুয়া ছিল তাঁদের জন্য।

তাঁদের জন্য ছিল কুমড়ো আর নারকেল দিয়ে বিশেষ রান্না, ব্ল্যাক রাইস, বাংলার সর্ষে দিয়ে রায়তা।

 

বন্ধ করুন