গণেশ পুজোর বিসর্জনের শোভাযাত্রায় জোরে গান বাজাতে বারণ করেছিল একটি পরিবার। কারণ তাঁদের বাড়ির ছেলের মৃত্যুতে অত্যন্ত শোকগ্রস্ত ছিলেন তাঁরা। সেকারণে তাঁরা জোরে গান বাজানোর ক্ষেত্রে আপত্তি জানিয়েছিলেন। আর তার জেরে ওই পরিবারকে মারাত্মকভাবে মারধর করা হয়েছে বলে খবর। অত্যন্ত হৃদয়বিদারক ঘটনা।
পুনের গণেশ নগর এলাকার ঘটনা। একাধিক সংবাদ মাধ্য়ম সূত্রে খবর, ওই হামলার ঘটনায় অভিযুক্ত ২১জনকেই গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা ওই হামলার ঘটনার সঙ্গে যুক্ত বলে অভিযোগ উঠেছিল। সূত্রে খবর, অভিযোগকারী সুনীল শিন্ডের সন্তানের সম্প্রতি মৃত্যু হয়েছিল। তারপর থেকেই ওই পরিবার অত্য়ন্ত বিমর্ষ ছিল। এদিকে গণেশ ঠাকুরের বিসর্জনের শোভাযাত্রা তাদের বাড়ির সামনে দিয়ে যাচ্ছিল। সেই সময় তাঁরা বাড়ির সামনে জোরে গান বাজাতে বারণ করেন। কারণ পরিবারের সকলেই অত্যন্ত শোকে আচ্ছন্ন। সেই অবস্থায় তাঁদের এই হইহল্লা ভালো লাগছিল না। সেকারণে তাঁরা অনুরোধ করেছিলেন এভাবে গান বাজাবেন না। কিন্তু সেটা শুনতে চায়নি ওরা।
এরপর বিসর্জন করে ফিরে আসার পথে ওই পরিবারের উপর হামলা চালায় তারা। লোহার রড, লাঠি, ধারালো অস্ত্র হাতে চলে হামলা। তাদের গাড়ির চালক, পরিবারের সদস্যরা গুরুতর জখম হয়েছেন।
তবে অভিযোগ পাওয়ার পরেই নড়েচড়ে বসে পুলিশ। তদন্তে নেমে পুলিশ অভিযুক্ত ২১জনের সন্ধান পায়। তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে দাঙ্গা বাঁধানোর চেষ্টার মতো কড়া আইন প্রয়োগ করা হয়েছে।
তবে এই ঘটনাকে ঘিরে প্রশ্ন উঠেছে একাধিক। সন্তানের শোকে কাতর বাবা অনুরোধ করেছিলেন তোমরা জোরে গান বাজিও না। তাতেই চটে গেলেন পুজো আয়োজকরা। এরপর ঠাকুর বিসর্জন করে ফিরে আসার পথে হামলা। তাদের এই ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। কেন তারা এই ধরনের পদক্ষেপ নিল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। পুত্র শোকে কাতর বাবার প্রার্থনাও তাদের মন গলাতে পারল না।