এলাহাবাদ হাইকোর্ট সোমবার তার পর্যবেক্ষণে জানিয়েছে নিঃসন্দেহে কোনও মহিলা কাউকে ধর্ষণ করতে পারে না। তবে তিনি যদি কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে ধর্ষণে উৎসাহ দেন, ধর্ষণকে আরও সহজতর করার কাজে এগিয়ে আসেন, তবে তাকেও গণধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত করা যেতে পারে। ভারতীয় দণ্ডবিধি ৩৭৬ ডি অনুসারে তার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ আনা যেতে পারে। বিচারপতি শেখর কুমার যাদব এনিয়ে একটি আবেদনকে খারিজ করে দিয়েছেন। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছিল কোনও মহিলাকে গণধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত করা যায় না।
এদিকে ১৫ বছর বছর বয়সী এক কিশোরীকে ধর্ষণ করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। সেই মামলার শুনানিতে আদালতের পর্যবেক্ষণ, একজন নারী তিনি ধর্ষণ করতে পারেন না। কিন্তু একদল লোককে নিয়ে তিনি যদি ধর্ষণে মদত দেন তবে তাকেও গণধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত করা যেতে পারে। ঠিক কী হয়েছিল ঘটনাটি?
২০১৫ সালের জুন মাসে ঘটনাটি হয়েছিল। ওই বছরই জুলাই মাসে অজ্ঞাত পরিচয় কয়েকজনের বিরুদ্ধে ওই নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেছিলেন তার বাবা। তার অভিযোগ কেউ একজন তার মেয়েকে ফুঁসলিয়ে নিয়ে চলে গিয়েছিল। তবে ওই নাবালিকা তার গোপন বয়ানে জানিয়ে দেয়, কে এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত। এক মহিলার দিকে তিনি অভিযোগের আঙুল তুলেছিলেন।
এদিকে চার্জশিটে অবশ্য় তার নাম যুক্ত ছিল না। তবে কিশোরীর বাবা ওই অভিযুক্তকে সমন পাঠানোর জন্য আদালতে আবেদন করেছিলেন। আসলে ওই অভিযুক্ত ছিলেন একজন মহিলা। তিনি আদালতের কাছে দাবি করেন আমি একজন মহিলা। আমার পক্ষে কাউকে রেপ করা সম্ভব নয়। সেকারণে আমাকে অভিযোগ থেকে রেহাই দেওয়া হোক। তাকে ভুল করে সমন পাঠানো হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
এই আবেদনের ভিত্তিতে আদালত জানিয়েছে কোনও মহিলাকে গণধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত করা যাবে না এটা ঠিক নয়। কারণ ধর্ষণের ঘটনার সঙ্গে যুক্ত রয়েছে যারা তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধেই অভিযোগ থাকে। তবে ৩৭৫ অ্য়াক্টে বলা হয়েছে একজন পুরুষই ধর্ষণ করতে পারে। একজন নারী নয়। তবে গণধর্ষণের ক্ষেত্রে এটা প্রযোজ্য নয়। সেখানে কার্যত একজন মহিলাও গণধর্ষণে সহায়তা করতে পারে। এটাও তার অপরাধ।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup