গাজার হাসপাতালে হামলার ঘটনায় শোকপ্রকাশ করলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন, গাজার আল-আহলি আরব হাসপাতালে যারা হামলা চালিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে হবে। যে হামলায় কমপক্ষে ৫০০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে হামাস-নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে দাবি করা হয়েছে। সেইসঙ্গে হামলার দায় ইজরায়েলের উপর চাপিয়েছে হামাস। যদিও প্যালেস্তাইন এবং হামাসের সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে ইজরায়েল। তেল-আভিভের দাবি, গাজার ইসলামিক জঙ্গি সংগঠনের ছোড়া রকেটে ভুলবশত ওই হাসপাতালে আছড়ে পড়ে। একইসুরে কথা বলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ইজরায়েলকে 'ক্লিনচিট' দিয়েছেন।
‘গাজার হাসপাতালে হামলা গাজারই জঙ্গিগোষ্ঠীর’
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেনের দাবি, গাজার হাসপাতালে যে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটেছে, সেটার পিছনে গাজারই জঙ্গিদের হাত আছে বলে প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘আমরা আজ যা তথ্য পেয়েছি, তাতে মনে করা হচ্ছে যে গাজার জঙ্গিগোষ্ঠীর ভুলবশত ছোড়া রকেটের কারণে (এই ঘটনা) ঘটেছে।’
হোয়াইট হাউজের তরফে দাবি করা হয়েছে, যে ছবি, গোয়েন্দা তথ্য পাওয়া গিয়েছে, সেটার ভিত্তিতে এমনই মনে করা হচ্ছে। যদিও হামাসের 'বন্ধু' জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক জিহাদির দাবি, ওই হামলার পিছনে তাদের হাত নেই। যে সময় হামলা চলেছে, সেইসময় ওই এলাকায় তাদের কোনও কর্মকাণ্ড চলছিল না।
তারইমধ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন জানিয়েছেন, মানবিক স্বার্থে প্যালেস্তাইনের গাজা ও ইজরায়েল-অধিকৃত ওয়েস্ট ব্যাঙ্কে নতুন করে ১০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রদান করবে। সেইসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, গাজা ভূখণ্ডে সাহায্য নিয়ে যেতে রাজি হয়েছে ইজরায়েল। উল্লেখ্য, রাষ্ট্রসংঘের ধারণা, প্রতিদিন গাজায় ১০০-র বেশি ট্রাক সরঞ্জাম পাঠাতে হবে।
‘প্যালেস্তাইনকেও সমর্থন করছেন মোদী'
বুধবার বিকেলের দিকে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ‘এক্স’-এ (পূর্বতন টুইটার) মোদী লেখেন, ‘গাজার আল-আহলি হাসপাতালে প্রাণহানির ঘটনায় অত্যন্ত শোকাহত। মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি। এখন যে সংঘাত চলছে, তাতে সাধারণ মানুষের হতাহত হওয়ার বিষয়টি অত্যন্ত উদ্বেগজনক। ওদের (অপরাধীদের) দায়ী করতে হবে।’
আরও পড়ুন: Islamic Jihad: ইসলামিক জেহাদ গোষ্ঠীটা কী? গাজার হাসপাতালে বিস্ফোরণে তাদের ঘাড়েই দোষ চাপাল ইজরায়েল
পরে রাতের দিকে ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিং বলেন, ‘প্যালেস্তাইনকে সমর্থন করছেন নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু হামাসের মতো জঙ্গিদের সমর্থন করেন না প্রধানমন্ত্রী মোদী।’ উল্লেখ্য, প্রাথমিকভাবে যখন ইজরায়েলে হামলা চালিয়েছিল হামাস, তখন সেটাকে ‘জঙ্গি হামলা’ হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।