বাণিজ্য ঘাটতি মেটাতে বড় পদক্ষেপ কেন্দ্রের। বুধবার এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে, বেশ কিছু ক্ষেত্রে সোনার গয়না এবং কিছু সামগ্রীর রফতানির ওপর কিছু বিধি নিষেধ আরোপ করা হয়েছে। এই আবহে এই নির্দিষ্ট সোনার গয়না আমদানি করতে চাইলে আমদানিকারককে সরকারের থেকে লাইসেন্সের অনুমোদন নিতে হবে। তবে ভারত এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি থাকায় দুবাই বা আবুধাবির মতো জায়গায় থেকে ভারতে সোনার গয়না আমদানির ক্ষেত্রে এই বিধিনিষেধ থাকবে না।
ডিরেক্টোরেট জেনারেল অফ ফরেন ট্রেডের তরফে নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, এর আগে যেসব ক্ষেত্রে সোনার গয়না আমদানির ওপর কোনও বিধিনিষেধ ছিল না, আজ থেকে অবিলম্বে সেই সব সোনার গয়না এবং সামগ্রী আমদানির ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপ করা হচ্ছে। এর ফলে এবার থেকে এই সোনার গয়না আমদানি করার জন্য সরকারের থেকে লাইসেন্সের অনুমোদন নিতে হবে।
এদিকে জানা গিয়েছে, এই অর্থবর্ষের এপ্রিল-মে মাসে মুক্ত এবং অন্যান্য দামী পাথরের আমদানি ২৫.৩৬ শতাংশ কমেছে। এই সময়কালে ৪ বিলিয়ন ডলার মূল্যের মুক্ত ও পাথর আমদানি হয়েছে ভারতে। এদিকে সোনার আমদানিও ৪০ শতাংশ কমেছে এই সময়কালে। ৪.৭ বিলিয়ন ডলার মূল্যের সোনা আমদানি হয়েছে ভারতে। এদিকে সব মিলিয়ে অপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর আমদানির পরিমাণ কমেছে ১০.২৪ শতাংশ। চলতি অর্থবর্ষের প্রথম দুই মাসে ১০৭ বিলিয়ন ডলারের সামগ্রী আমদানি হয়েছে ভারতে। এই সময়কালে ভারতের বাণিজ্য ঘাটতি ৩৭.২৬ বিলিয়ন ডলার। গত অর্থবর্ষের এপ্রিল-মে মাসে বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ ছিল ৪০.৪৮ বিলিয়ন ডলার। এদিকে এই দুই মাসে দেশে ১১০ মিলিয়ন ডলারের সোনার গয়না আমদানি করা হয়েছে। এর বেশিরভাগই সংযুক্ত আরব আমিরাত, আমেরিকা এবং ইন্দোনেশিয়া থেকে দেশে আনা হয়েছে।
রিপোর্ট অনুযায়ী, সোনার দ্বিতীয় বৃহত্তম আমদানিকারক ভারত। সুইৎজারল্যান্ড থেকে ভারত অনেক সোনা আমদানি করে বলে জানা যায়। ২০২১-২২ আর্থিক বছরের সোনা আমদানির পরিসংখ্যান অনুযায়ী, মোট সোনা আমদানির ৪৫.৮ শতাংশই সুইৎজারল্যান্ড থেকে করেছিল ভারত। এরপর সংযুক্ত আরব আমিরশাহি থেকে সর্বোচ্চ ১২.৭ শতাংশ সোনা আমদানি করেছিল ভারত।