নয়া সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসেই ভারতীয় বাজারে পড়ল সোনার দাম। সোমবার এমসিএক্স সূচকে ১০ গ্রাম সোনার দাম কিছুটা কমে দাঁড়িয়েছে ৪৭,৩৫২ টাকা। আর এক কেজি রুপোর দাম ০.৭ শতাংশ হ্রাস পেয়ে হয়েছে ৬৮,২২৩ টাকা।
চলতি মাসের শুরুতে তো সোনার দাম প্রায় এক বছরের সর্বনিম্ন স্তরে (১০ গ্রামের দাম ৪৪,১০০ টাকা) পৌঁছে গিয়েছিল। তবে দুর্বল মার্কিন ডলারের কারণে সেই নিম্নমুখী প্রবণতা কেটে গিয়েছিল। চলতি মাসেই ১০ গ্রাম সোনার দাম প্রায় ৩,০০০ টাকা বেড়েছিল (গত সপ্তাহ পর্যন্ত)। নয়া সপ্তাহের শুরুতেই সামান্য দাম কমলেও এখনই হলুদ ধাতুর দর অনেকটা পড়বে না বলে মত বিশেষজ্ঞদের। জিয়োজিতের তরফে জানানো হয়েছে, এমসিএক্স সূচকে ৪৫,৮৮০ টাকায় সমর্থন পাচ্ছে ১০ গ্রাম সোনা। আর বাধা পাচ্ছে ৪৭,৭৪০ টাকায়। এমনিতে গত বছর অগস্টে রেকর্ড ৫৬,২০০ টাকায় পৌঁছে গিয়েছিল ১০ গ্রাম সোনা। তার ফলে রেকর্ড দরের তুলনায় এখনও প্রায় ৯,০০০ টাকা কম আছে সোনার দর।
দুর্বল ডলারের কারণে বিশ্ব বাজারে অবশ্য বেড়েছে সোনার দাম। এক আউন্স স্পট গোল্ডের দাম ০.১ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১,৭৭৭ ডলার। ডলার সূচক ০.১৩ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯১.৬৬ শতাংশ। তা সত্ত্বেও তা প্রায় এক মাসে সর্বনিম্ন। দুর্বল ডলারের ফলে অন্য মুদ্রাধারীদের কাছে সোনার দাম কমেছে।
বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, খাতায়-কলমে যতক্ষণ এক আউন্স সোনা ১,৭৬০ ডলারের স্তরের উপরে থাকবে, ততক্ষণে হলুদ ধাতুর প্রতি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি থাকবে। তার ফলে চাঙ্গা হবে সোনা। যদি এক আউন্সের দাম ১,৮২০ ডলার বা তার দিকে অগ্রসর হয়, তাহলে সোনার ঘুরে দাঁড়ানোর সম্ভাবনা থাকবে। একইসঙ্গে এক আউন্সের দাম ১,৭২৫ ডলারের নীচে নেমে গেলে সোনার পক্ষে তা নিম্নমুখী প্রবণতার শুরু হবে। আপাতত চলতি সপ্তাহে বৃৃহস্পতিবার ইউরোপিয়ান কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের সুদ সংক্রান্ত যে সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হবে, সেদিকে তাকিয়ে আছেন লগ্নিকারীরা। পরদিন আবার পরিষেবা এবং উৎপাদন সংক্রান্ত পরিসংখ্যান পেশ করবে আমেরিকা।