নয়া বছরের প্রথম দিনে সামান্য বাড়ল সোনা, উর্ধ্বমুখী রুপোও

গত বছর সোনার দাম প্রায় ২৭ শতাংশ বেড়েছিল। রুপোর ক্ষেত্রে সেই উত্থান আরও বেশি ছিল।

নয়া বছরের প্রথম দিনে সামান্য বাড়ল সোনা, উর্ধ্বমুখী রুপোও। (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্য পিটিআই)

নয়া বছরের প্রথম দিন ভারতীয় বাজারে সামান্য উর্ধ্বমুখী হল সোনার দর। শুক্রবার এমসিএক্স সূচকে ১০ গ্রাম সোনার দাম ০.১৭ শতাংশ বা ৮৪ টাকা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫০,২৩৫ টাকা। সোনার থেকেও কম হারে বেড়েছে রুপো। ০.০২ শতাংশ বেড়ে এক কেজি রুপোর দর ৬৮,১২০ টাকা হয়েছে।

গত বছর সোনার দাম প্রায় ২৭ শতাংশ বেড়েছিল। রুপোর ক্ষেত্রে সেই উত্থান আরও বেশি ছিল। করোনাভাইরাস জর্জরিত বছরে রুপোর দাম বেড়েছিল প্রায় ৫০ শতাংশ। গত অগস্টে ১০ গ্রাম সোনার দাম রেকর্ড ৫৬,২০০ টাকায় পৌঁছে গিয়েছিল। সেই মাসেই এক কেজি রুপোর দর প্রায় ৮০,০০০ টাকার কাছে ছিল। করোনা টিকা সংক্রান্ত আশার মধ্যে সেই দাম খানিকটা কমলেও নতুন করে সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে বাজারেও আবারও অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।

বিশ্ব বাজারে গত বছর ২৫ শতাংশ বেড়েছিল সোনার দাম। যা এক দশকে বার্ষিক সোনার দামের ক্ষেত্রে সর্বাধিক বৃদ্ধি। তবে বিশ্ব বাজারে সোনার দাম কিছুটা কম রয়েছে। সংবাদসংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, এক আউন্স হলুদ ধাতুর দাম দাঁড়িয়েছে ১,৮৯৫ ডলার। রুপোর দামে তেমন হেরফের হয়নি। এক আউন্স রুপোর দর পড়ছে ২৬.৩৪ ডলার। 

আইসিআইসিআই সিকিউরিটিজের বিশেষজ্ঞদের মতে, বিশ্বজুড়ে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। তার জেরে অর্থনীতির ঘুরে দাঁড়ানোর প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন তৈরি হয়েছে। ফলে সুরক্ষিত সম্পত্তি হিসেবে সোনার গুরুত্ব আরও বেড়েছে। তার জেরে নয়া বছরে ভারতে ১০ গ্রাম সোনার দাম ৬৫,০০০ টাকার দিকে অগ্রসর হতে পারে। সংস্থার তরফে বলা হয়েছে, ‘পাশাপাশি বড় অঙ্কের আর্থিক প্যাকেজের ফলে বুলিয়নের মতো সুরক্ষিত সম্পত্তিতে লগ্নি বাড়ছে।'

অন্যদিকে, শুক্রবার চলতি অর্থবর্ষের নবম দফার গোল্ড বন্ড কেনা সময়সীমা শেষ হয়েছে। প্রতি গ্রাম সোনার দাম ধার্য করা হয়েছিল ৫,০০০ টাকা। অনলাইনে আবেদন এবং ডিডিটাল মোডে লেনদেন করলে প্রতি গ্রামে ৫০ টাকা ছাড় পেয়েছেন বিনিয়োগকারীরা।