১২০টি প্রলয় মিসাইল কেবার অনুমোদন দিল প্রতিরক্ষা মন্ত্রর। রিপোর্ট অনুযায়ী, এই মিসাইলগুলিকে চিনের সীমান্তে মোতায়েন করা হবে। এই প্রলয় ব্যালিস্টিক মিসাইল ১৫০ থেকে ৫০০ কিমি দূরত্বে লক্ষ্য ভেদ করতে সক্ষম। প্রয়াত সিডিএস বিপিন রাওয়াত যখন সেনাপ্রধান ছিলেন তখন থেকে এই প্রলয় মিসাইল তৈরির কাজ চলছিল। গতবছরের ২১ এবং ২২ ডিসেম্বর এই মিসাইলের সফল পরীক্ষণ হয়। সেনা সূত্রে খবর, প্রথম পর্যায়ে ১২০টি প্রলয় ক্ষেপণাস্ত্র কেনা হবে। এর সবগুলিই মোতায়েন করা হবে চিন সীমান্তে। উল্লেখ্য, এই প্রথম স্বল্পপাল্লার ব্যালেস্টিক মিসাইল সীমান্তে মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতীয় সেনা।
সম্পূর্ণ ভারতীয় প্রযুক্তিতে তৈরি হয়েছে প্রলয় মিসাইলটি। প্রথমে বায়ুসেনা এবং পরে সেনায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে এই মিসাইলটি। ঘণ্টায় প্রায় ২ হাজার কিলোমিটার বেগে যেতে পারে প্রলয়। আকাশেই বদলে ফেলা যায় লক্ষ্যবস্তু এবং গতিপথ। তাওয়াং সংঘর্ষের পর এই মিসাইল মোতায়েনের সিদ্ধান্তে ভারতের তরফে চিনকে স্পষ্ট বার্তা পাঠানো হয়েছ, কোনওভাবে পিছু হটবে না তারা। প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিক মাসগুলিতে বারংবার পিএল-র জেট বিমান ভারয়ীয় আকাশসীমা লঙ্ঘন করেছে। তবে চিনের এহেন আচরণ যে বরদাস্ত করা হবে না, তা স্পষ্ট করে দিয়েছে ভারত। এদিকে সম্প্রতি ভারত-চিন ১৭তম কমান্ডার স্তরের বৈঠক হয় লাদাখের চশুলে। তবে সেই বৈঠকও কোনও দীর্ঘমেয়াদী সমাধান সূত্র বেরিয়ে এল না।
প্রসঙ্গত, গালওয়ান সংঘর্ষের পর থেকে ভারত-চিন সম্পর্খক তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। গালওয়ান সংঘর্ষের পর থেকে এখনও পর্যন্ত ভারত ও চিনের মধ্যে মোট ১৬টি বৈঠক হয়েছে। একটি বৈঠক হয়েছিল গালওয়ান সংঘর্ষের আগে। এই বৈঠকগুলির ফলে কোথাও কোথাও শান্তি ফিরেছে, তবে সার্বিক ভাবে সেনা প্রত্যাহার নিয়ে এখনও সামগ্রিক সমাধান সূত্র বেরিয়ে আসেনি। এরই মাঝে প্যাংগং হ্রদ সংলগ্ন ফিঙ্গার ৮-এর থেকে মাত্র ১৬ কিলোমিটার দূরে একটি বড় সেতু বানানোর কাজে হাত দিয়েছে। অপরদিকে অরুণাচলেও আগ্রাসী মনোভাব দেখিয়েছে চিন। এরই মাঝে এবার চিনের ভাষাতেই চিনকে বার্তা পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিল দিল্লি।
বর্তমানে লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার দুই দিকেই এখন দুই দেশের সমসংখ্যক সেনা মোতায়েন রয়েছে। চিনের আর্মরড এবং রকেট রেজিমেন্টগুলি মোতায়েন রয়েছে রুডগ ঘাঁটি, প্যাংগং সোর দক্ষিণে এবং জিনজিয়াং সামরিক অঞ্চলের জিয়াদুল্লাহতে। পিএলএ এয়ার ফোর্স ডেমচোক এবং জিনজিয়াংয়ের হোতান এয়ারবেসে তাদের যুদ্ধবিমান এবং বোমারু বিমান মোতায়েন করে রেখেছে।