করোনা অতিমারী আবহে দাম বাড়তে দেখা গিয়েছিল ছোলার ডাল সহ একাধিক ধরনের ডালের। এর জেরে মাথায় হাত পড়েছিল মধ্যবিত্তের। সেই পরিস্থিতি সামাল দিতে ডাল মজুত করার উপর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয় কেন্দ্রের তরফে। অত্যাবশ্যক পণ্য আইন, ১৯৫৫-এর আওতায় আনা হয় ডালকে। এই নির্দেশিকা ২ জুলাই থেকে আগামী ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত জারি থাকবে বলে জানায় কেন্দ্র। তবে এভাবে ডালকে অত্যাবশ্যক পণ্য আইনের আওতায় আনার বিষয়টি আদতে কৃষি আইনের পরিপন্থী। যদিও কৃষকদের সঙ্গে আলোচনায় কোনও সুরাহা না বেরিয়ে আসায় আপাতত কৃষি আইন স্থগিত রাখা হয়।
মুগ ডাল ছাড়া বাকি সব ধরনের ডালের মজুতের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। তবে কেন্দ্রের অত্যাবশ্যক পণ্য (সংশোধনী) আইন,২০২০-র বিরুদ্ধে এই পদক্ষেপ। কেন্দ্রের নয়া নির্দেশিকা বলছে, এখন থেকে ২০০ টনের বেশি ডাল মজুত রাখতে পারবেন না পাইকারি বিক্রেতারা। এদিকে খুচরো বিক্রেতারা ৫ টনের বেশি মজুত রাখতে পারবেন।
এর আগে ২০২০ সালে পাশ হয়েছিল অত্যাবশ্যক পণ্য (সংশোধনী) আইন। এই আইনের মাধ্যমেই চাল, ডাল, আলু, পেঁয়াজ, তেলবীজ, ভোজ্য তেলের মতো কৃষিপণ্যকে অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের আওতা থেকে বাদ দেওয়া হয়। উঠে যায় পণ্য মজুতের ঊর্ধ্বসীমাও। আইনে অবশ্য বলা হয়েছিল যে অস্বাভাবিক পরিস্থিতিতে সরকার এই সব পণ্যের মজুত, বিক্রি বা অন্যান্য বিষয়ের উপর নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে। সেই মতোই এবার ডালের মজুতের উপর সীমা নির্ধারণের নির্দেশিকা জারি করেছে কেন্দ্র।
এর আগে কৃষি আইন পাশ করিয়ে কেন্দ্রের বক্তব্য ছিল, বেসরকারী লগ্নীকারীদের ব্যবসায়িক কাজকর্মে অনাবশ্যক খবরদারি বা হস্তক্ষেপের আশঙ্কা দূর করতেই এই সংশোধনী আইন আনা হয়েছে। এদিকে ডালের দাম নিয়ন্ত্রণ করতে কেন্দ্র যেভাবে অত্যাবশ্যক পণ্য আইন, ১৯৫৫ লাগু করে ডালের মজুতের ঊর্ধ্বসীমা নির্ধারণ করে দিয়েছে তাতে কৃষকদের আয় কমে যাবে বলে আশঙ্কা অনেক বিশষজ্ঞের।