করোনা কালে টাকা বাঁচাতে এখন অত্যন্ত তৎপর কেন্দ্র। সেই জন্য এদিন অর্থমন্ত্রকের তরফ থেকে বিস্তারিত ফিরিস্তি দেওয়া হয়েছে কীভাবে খরচ বাঁচানো যায়, তার ওপর। অর্থমন্ত্রক জানিয়েছে সরকারি সম্পদের ওপর এই মুহূর্তে যা চাপ ও বর্তমান আর্থিক হাল যেমন, সেখানে অত্যাবশক নয় এমন খরচের ক্ষেত্রে কাটছাঁট করার প্রয়োজন আছে।
সেই মর্মে কেন্দ্র জানিয়ে দিয়েছে যে বাইরে থেকে আনা পাতায় কোনও বই, নথি ছাপানো যাবে না, যদি না সেটা বিদেশে ভারতীয় হাইকমিশন করে। সরকারি খরচে কোনও অনুষ্ঠান আপাতত না করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। যদি একান্তই করতে হয়, তাহলে সেটা খুব ছোটো করে করতে হবে।
কেন্দ্রীয় সরকারি মন্ত্রক ও তাদের অন্তর্গত দফতররা যেসব কনসালটেন্ট নিয়োগ করে, এবার তার ওপরেও রাশ টানতে চাইছে মোদী সরকার। কোন দফতরের কতজন কনসালটেন্ট আছে ও আদৌ তার প্রয়োজন আছে কিনা, সেটা রিভিউ করে দেখতে হবে। যতটা সম্ভব কম কনসালটেন্ট রাখার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।
এছাড়াও আগে থেকে অনুমতি না নিয়ে কোনও নতুন পদ সৃষ্টি করা যাবে না বলেও জানিয়ে দিয়েছে অর্থমন্ত্রক।
প্রসঙ্গত ৬৮ দিনের লকডাউনের ফলে অর্থনীতি কার্যত ধসের মুখে। প্রথম ত্রৈমাসিকে জিডিপি সংকুচিত হয়েছে ২৩ শতাংশ। ইতিমধ্যেই পুরো বছরে ফিসক্যাল ডেফিসিটের যা হিসেব ছিল, সেটা ছাড়িয়ে গিয়েছে। সেই কারণেই বাধ্য হয়ে রাশ টানতে হচ্ছে কেন্দ্রকে।