‘হালাল কাট মাংস’ নিষিদ্ধকরণ নিয়ে এবার চিন্তাভাবনা করেই পা ফেলতে চায় কর্ণাটক সরকার। সম্প্রতি এই প্রসঙ্গে কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই স্পষ্টতই জানান, কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছনোর আগে সরকার সব দিক বিবেচনা করেই সিদ্ধান্ত নেবে। সরকারের কাছে উন্নয়নই একমাত্র লক্ষ্য।
সম্প্রতি কর্ণাটক জুড়ে ‘হালাল কাট মাংস’ নিষিদ্ধ করার দাবিতে সক্রিয় হয়ে উঠেছে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলি। ইতিমধ্যে তাঁরা হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকেদের এই মাংস না কেনার দাবি জানিয়েছে। গোটা বিষয়টি নিয়ে রাজ্য জুড়ে নতুন করে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। এই প্রসঙ্গে কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী জানান, ‘পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বেশ কিছু জায়গা থেকে অভিযোগ আসতে শুরু করেছে। পুরো প্রক্রিয়াটিই এক ধরনের প্রচলন মাত্র। এর সঙ্গে আইনের কোনও সম্পর্ক নেই। তবে পুরো বিষয়টি স্টাডি করা হচ্ছে। সব দিক খতিয়ে দেখেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
ইতিমধ্যেই রাজ্যের ৬১ জন প্রগতিশীল লেখক ও বুদ্ধিজীবীরা কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে চিঠি লিখে তাঁদের উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তাঁদের আশঙ্কা, পরিস্থিতি যে দিকে গড়াচ্ছে, তাতে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিঘ্নিত হতে পারে। এই প্রসঙ্গে কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দেন, ‘সরকার শান্তি ও সম্প্রীতি রক্ষার পক্ষে। সাধারণ মানুষের যাতে উন্নতি হয়, তাঁর স্বার্থ রক্ষা করাই সরকারের কাজ। উন্নয়ন ও শান্তি শৃঙ্খলার ওপরই জোর দিতে চায় সরকার।’ তবে ইতিমধ্যে গোটা বিষয়টিতে রাজনীতির রঙ লাগতে শুরু করেছে।
বিষয়টিকে বিধানসভায় উত্থাপন করেছেন জেডিএস নেতা তথা কর্ণাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এইচ ডি কুমারস্বামী। তিনি জানান, ‘উঘাদি উৎসবের সময় ‘হালাল মাংস’ নিষিদ্ধ করার কথা হোয়াটসঅ্যাপে ছড়িয়ে দিয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিঘ্নিত করার চেষ্টা করছে কিছু দুষ্কৃতী।’ কংগ্রেস নেতা কে আর রমেশ কুমার জানান, দীর্ঘদিন ধরে মুসলিম সম্প্রদায়ের লোকেরা এই হালাল মাংস কিনে আসছে। এটা দীর্ঘদিনের অভ্যাস। নির্বাচনী ফায়দা নেওয়ার জন্য এটাকে ইস্যু বানানো যায় না।’