প্রজাতন্ত্র দিবসে দিল্লির রাজপথে উঠে আসবে এক টুকরো কলকাতা। ডাক বিভাগের ট্যাবলোয় উঠে আসবে কলকাতার জিপিও। উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজ থেকে নেতাজির ট্যাবলো বাদ দেওয়া হয়।
কেন্দ্রীয় সরকার সূত্রে খবর, স্বাধীনতার ৭৫ তম বছরে ডাক, ব্যাঙ্ক ও সরকারি পরিষেবাকে কীভাবে এক সূত্রে বেঁধে রাখা যায়, সেবিষয়ে প্রজাতন্ত্র দিবসের ট্যাবলো তুলে ধরা হবে। সেই ট্যাবলোর মাধ্যমে মহিলাদের ক্ষমতায়নের বিষয়টি তুলে ধরা হবে। সেখানে মহিলা ডাকপিয়নের মূর্তি তুলে ধরা হবে। সেই ডাকপিয়নের এক হাতে থাকবে ডিজিটাল ডিভাইস, অন্য হাতে থাকবে চিঠিপত্রের ব্যাগ। সেই ট্যাবলোরই পিছনের অংশে দেখানো হবে কলকাতা জিপিও–এর সাদা ভবনকে। কলকাতার শিল্পী বাপ্পাদিত্য চক্রবর্তীর হাতেই সৃষ্টি হয়েছে ডাক বিভাগের এই বিশেষ ট্যাবলো।
অসাধারণ এই শিল্পকর্মের সৃষ্টিকর্তা বাপ্পাদিত্য চক্রবর্তী জানান, ‘দেশের সবচেয়ে বড় পুরনো ডাকঘর হল জিপিও। দেশের হেরিটেজ ভবনগুলির মধ্যে একটি হল এই জিপিও। ডাক বিভাগের এত বছরের ইতিহাসের সাক্ষী এই জিপিও। কলকাতার এই হেরিটেজ ভবনের সামনেই থাকবে চিরাচরিত লাল বাক্স। পাশাপাশি স্বাধীনতা আন্দোলনের কথাও তুলে ধরা হবে ডাকটিকিটের ছবির মাধ্যমে।’ উল্লেখ্য, বিবাদী বাগে এখন যেখানে এই জিপিও রয়েছে, সেখানে ছিল পুরনো ফোর্টউইলিয়াম দূর্গ। নবাব সিরাজদৌল্লা সেই ফোর্ট উইলিয়াম দূর্গটি ভেঙে দেন। এরপর ১৮৬৪ সালে ওই জায়গায় পাশ্চাত্য স্থাপত্য শিল্পের আঙ্গিকে জিপিও তৈরি হয়। ১৮৬৮ সালে ২২০ ফুট উঁচু রাজকীয় গম্বুজ ও থামে সাজানো ওই জিপিও খুলে যায়।