সপ্তর্ষি দাস
স্বামীনারায়ণ গুরুকূল রাজকোট সংস্থানে শনিবার ৭৫ তম অমৃত মহোৎসবে ভার্চুয়াল মাধ্যমে বক্তব্য রাখলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শাস্ত্রীজী মহারাজ ধর্মজীবনদাসজী স্বামী ও তাঁর সঙ্গীদের কথা স্মরণ করেন তিনি। ভগবান স্বামীনারায়ণের কথাও স্মরণ করেন তিনি। প্রাচীন গুরুকুল প্রথার কথাও তুলে ধরেন তিনি। কন্যা গুরুকূল শুরু করার জন্য তিনি স্বামী নারায়ণ গুরুকূলের প্রশংসা করেন।
প্রধানমন্ত্রীর দফতরের তরফে বলা হয়েছে, এই গুরুকূলের অন্তত ৪০টিরও বেশি শাখা গোটা বিশ্বে রয়েছে। প্রায় ২৫ হাজার পড়ুয়া রয়েছেন। আন্ডারগ্রাজুয়েট ও পোস্ট গ্রাজুয়েট স্তরে পড়াশোনার সুযোগ রয়েছে।
এদিকে গুরুকূল বিদ্যা প্রতিষ্ঠানম রাজকোটে মাত্র সাতজন পড়ুয়া নিয়ে পথচলা শুরু করেছিল। আর সেই গুরুকূলেরই এখন ৪০টিরও বেশি শাখা বিশ্বজুড়ে। এই গুরুকূলের মাধ্যমে পড়ুয়াদের মূল্যবোধ গড়ে ওঠে। এতে তাদের সার্বিক উন্নতি হয়।
সরকারি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, এই গুরুকূলের মাধ্যমে আধ্যাত্মিকতা থেকে শুরু করে ইসরোর মতো প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞানীও তৈরি হয়েছেন। ভারতীয়দের জীবনের মূল্যবোধের নানা দিকগুলি নিয়ে এই গুরুকূলের পড়ুয়াদের শেখানো হয়। প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, যখন বিশ্বের অন্য় প্রান্তের মানুষরা তাদের রাজত্বের নিরিখে পরিচয় বহন করে অন্য়দিকে ভারতের পরিচয় হল গুরুকূলের মাধ্যমে। আমাদের গুরুকূল সমতা, সাম্য ও সেবার মাধ্যমে গড়ে উঠেছে। নালন্দা ও তক্ষশিলার কথাও উল্লেখ করেছেন তিনি।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী ভারতীয় শিক্ষার মহান ধারার কথা উল্লেখ করেন। ভারতীয় ইতিহাসের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা কঠিন পরিশ্রম, সংস্কৃতি, উৎসর্গ, আধ্যাত্মিকতা, আধুনিকতার কথা উল্লেখ করেন তিনি। এর সঙ্গেই তিনি জানিয়েছেন, ভারতীয় শিক্ষা ব্যবস্থার অতীত গৌরবকে পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করতে হবে। তিনি জানিয়েছেন, প্রকৃত শিক্ষাকে ছড়িয়ে দিতে হবে। এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। এটাই ভারতীয় ইতিহাসের মূল সুর। সেই সুরটিকে খুঁজে বের করতে হবে।
পাশাপাশি ভারতীয় মুনি ঋষিদের কথাও উল্লেখ করেন তিনি। তিনি বলেন, বর্তমানে ভারত ডিজিটাল ইন্ডিয়ার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। আত্মনির্ভর ভারত, ভোকাল ফর লোকাল, ৭৫ অমৃত সরোবর, প্রতি জেলায় এক ভারত শ্রেষ্ট ভারতের কথা উল্লেখ করা হচ্ছে।
তিনি পরামর্শ দেন, গুরুকূলের ছাত্ররা যেন ১৫দিনের জন্য় উত্তরপূর্বভারতে যান। সেখানে গিয়ে তারা যেন সেখানকার মানুষদের সঙ্গে একাত্ম হয়ে ভারতকে আরও শক্তিশালী করে তোলে।