পুরোটাই অনলাইন ক্লাস করল আন্তর্জাতিক ছাত্রদের ভিসা বাতিল হয়ে যাবে, ট্রাম্প প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করল হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি।
এমআইটি প্রেসিডেন্ট রাফায়েল রিফ জানান যে বস্টন ডিস্ট্রিক্ট কোর্টে করা মামলায় তারা এই আদেশের ওপর সাময়িক স্থগিতাদেশ চেয়েছেন কারণ এতে ছাত্র ছাত্রীদের ভবিষ্যত ছাড়খাড় হয়ে যাবে। বেশির ভাগ বিশ্ববিদ্যালয় আগামী সেমেস্টারের পরিকল্পনা করে নেওয়ার পর এই বিজ্ঞপ্তি এল, বলে জানান তিনি।
হার্ভার্ডের সভাপতি লরেন্স ব্যাকো বলেন যে অত্যন্ত হিংস্র এই সিদ্ধান্ত যেখানে পড়ুয়াদের স্বার্থের কথা ভাবা হয়নি। কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে চাপ দিয়ে খোলানোর জন্যেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানান তিনি। একযোগে এমআইটি ও হার্ভার্ড এর বিরুদ্ধে লড়বে বলে তিনি জানান। বর্তমানে প্রায় দুই লক্ষ ভারতীয় ছাত্র ছাত্রী আছেন আমেরিকায় যারা প্রায় ৭ বিলিয়ন ডলার দেন মার্কিন অর্থনীতিতে। তাদের অনেকেই বিপাকে পড়েছেন এই সিদ্ধান্তের ফলে।
বিশ্ববিদ্যালয়গুলি সম্পূর্ণ ভাবে অনলাইনে ক্লাস নিলে বিদেশি পড়ুয়ারা আমেরিকায় থাকতে পারবেন না, বলে জানিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। সোমবার এই নির্দেশিকা জারি করল U.S. Immigration and Customs Enforcement (ICE ). অনেক বিশ্ববিদ্যালয়েই জানিয়েছিলেন যে ফল সেমেস্টারে তারা পুরো ক্লাস নেবে অনলাইন। কিন্তু সেরকম ক্ষেত্রে ছাত্রদের আমেরিকায় থাকতে দেবে না জানিয়ে দিল ট্রাম্প প্রশাসন।
নির্দেশিকা ঘোষণার পর ট্রাম্প টুইটারে জানান যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে দরজা খুলতেই হবে। ডেমোক্র্যাটরা রাজনৈতিক কারণে বিশ্ববিদ্যালয় খুলতে চাইছে না বলে তিনি অভিযোগ করেন।নয়া নিয়ম অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক ছাত্রদের কিছু ক্লাস অফলাইন করতে হবে। পুরোটাই অনলাইনে হলে ভিসা দেওয়া হবে না।
যারা অনলাইন ক্লাস করছে, তাদের শীঘ্রই ট্রান্সফার নিয়ে দেশে ফিরতে হবে বা বাড়ি গিয়ে ভার্চুয়াল ক্লাস করতে হবে বলে জানিয়েছে প্রশাসন। নয়তো তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে প্রশাসন।যারা F-1 ও M-1 ভিসায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গেছেন, তাদের জন্যেই সবচেয়ে সমস্যা।