ভুয়ো মেসেজ লিখে ভাইরাল করা, অশান্তি ছড়ানোর দিন শেষ। সোশ্যাল মিডিয়ায় এ ধরণের মেসেজের লেখকদের এবার থেকে হাতে নাতে ধরবে সাইবার পুলিস। সৌজন্যে হ্যাস কনস্ট্যান্ট।
কী এই হ্যাস কনস্ট্যান্ট(Hash constant)? খুব সহজ ব্যাখ্যা করলে ধরুন আপনি একটি মেসেজ লিখেছেন। সেটা কাউকে প্রেরণ করলেন। সেই সময় থেকেই আপনার মেসেজের সঙ্গে একটি বিশেষ গাণিতিক সংখ্যা জুড়ে যাবে। এটিই হ্যাস ধ্রুবক।
আপনার মেসেজ যিনি পেলেন, তিনি কাউকে ফরোয়ার্ড করলে, এবং এভাবে উত্তরোত্তর ফরোয়ার্ড হতে থাকতে পারে। কিন্তু তবুও সেই বিশেষ সংখ্যাটা সামান্য পরিবর্তিত হলেও থাকবে ধ্রুবকের মতো অপরিবর্তিত।
এই ধরণের যেকোনও ফরোয়ার্ড হওয়া ভাইরাল মেসেজ-এর হ্যাস কনস্ট্যান্ট চাইলেই পেয়ে যাবে সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থা। পুলিস চাইলেই সেই হ্যাস কনস্ট্যান্ট থেকে মেসেজটা প্রথম কে লিখেছেন তা ট্রেস করতে পারবেন।
মোট ৫০ লক্ষের উপর ব্যবহারকারী রয়েছে এমন প্রতিটি সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থাগুলিকেই এই নীতি মেনে চলতে হবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।
তবে, এভাবে সকল মেসেজে হ্যাস কনস্ট্যান্ট জুড়লে কোনওভাবে প্রাইভেসি নষ্ট হবে না তো? সেই চিন্তা নেই বলেই জানিয়েছেন এক আধিকারিক। কারণ ভাইরাল মেসেজ এমনিতেই বহু মানুষ দেখে ফেলেছেন। সেটি কোনও অশান্তি বা ভুয়ো খবর ছড়ালে শৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে সেটি এমনিও ট্রেসিং করা প্রয়োজন। তবে, বিনা কারণে কারও মেসেজের ট্রেসিং-এর প্রশ্নই উঠছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
সাম্প্রতিক বিভিন্ন ঘটনায় সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল মেসেজ-এর বিপদের দিকটা বার বার উঠে এসেছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থার প্রাইভেসি ও এনক্রিপশনের ফলে প্রথম মেসেজ সেন্ড করা ব্যক্তিকে খুঁজে পাওয়া যায় না। এবার সেটা বদল আসতে চলেছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।