আসলে অসম্ভব মনে হলেও অনেক কিছু আজও হয় এই পৃথিবীতে। নাগপুরে এক ব্যক্তির হার্ট অ্য়াটাক হয়েছিল। তাঁর হৃদপিণ্ডে কোনও স্পন্দন পাওয়া যাচ্ছিল না। পরিবারে কান্নার রোল পড়ে যায়। সকলেই ভেবেছিলেন হয়তো চলে গিয়েছেন তিনি। সময় ক্রমশ এগোতে থাকে।
ওই যুবক নাগপুরের বাসিন্দা। আইটি কোম্পানিতে চাকরি করেন। চার পাঁচদিন ধরে তাঁর বুকজ্বালা করছিল। দুবার অজ্ঞানও হয়ে পড়েছিলেন। এরপরই একটা সময় তার হার্ট অ্যাটাক হয়। তাকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে সেখানেই দ্রুত চিকিৎসা চালানো হয়। পালস পাওয়া না গেলেও শেষ চেষ্টা চালিয়ে যান চিকিৎসকরা।
সর্বশেষ চেষ্টা চালিয়ে যান চিকিৎসকরা। ঠিক কী হয়েছিল ঘটনাটি?
সূত্রের খবর, ঘটনাটি গত অগস্ট মাসের শেষের দিকের। রোগীর বয়স ৩২ বছর। তাঁরই হার্ট অ্য়াটাক। অত কম বয়সে হার্ট অ্য়াটাক। তবে চিকিৎসকরা সহজে হাল ছাড়েননি। ওই ব্যক্তিকে প্রায় ৪৫ মিনিট ধরে সিপিআর করা হয়। তাঁর পালস পাওয়া যাচ্ছিল না। তবে কার্ডিওপালমোনারি রিসাসিটেশনে অবশেষে সাড়া দেন ওই ব্যক্তি। প্রাণ ফিরে আসে তাঁর।
এদিকে চিকিৎসকদের মতে এভাবে ক্রমাগত সিপিআর দিলে রোগীর বুকের পাঁজর ভেঙে যেতে পারে। তাছাড়া শক থেরাপি দিলে অনেক সময় চামড়া পুড়ে যায়। তবে এক্ষেত্রে তেমন কিছু হয়নি। তবে প্রাণের লক্ষণ দেখা দেওয়ার পরেই হাসি ফোটে পরিবারের মধ্য়ে।
তবে বহু ক্ষেত্রে আপৎকালীন পরিস্থিতিতে সিপিআর করা হয়। তবে ৪০ মিনিট পরে সাধারণত আশা ছেড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু এক্ষেত্রে ৪০ মিনিট পরেও সিপিআর করা হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত বেঁচে যান তিনি।