খোঁয়াড়ে নিয়ে যাওয়ার পর গরুর প্রতি অত্যন্ত অযত্ন করা হয় বলে আদালতে নালিশ করা হয়েছিল। আমেদাবাদ মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠেছিল। এনিয়ে আদালতে নালিশ করেছিলেন গরুর মালিকরা। গরুগুলিকে কী করুণ অবস্থার মধ্যে রাখা হয় তার বিবরণ তুলে ধরেছিলেন তাঁরা। সেই পরিস্থিতির ছবিও তারা দেখিয়েছিলেন। এরপরই আদালত এনিয়ে বিশেষ মন্তব্য করেছে।
গুজরাট হাইকোর্ট জানিয়েছে, ভারতে গরুকে পুজো করা হয়। সেকারণেই আদালত আগে মন্তব্য করেছিল যদি গোহত্যা করা হয় তবে ভগবান আমাদের ক্ষমা করবেন না, আমাদের রক্ষা করবেন না। বিচারপতি এজে শাস্ত্রী ও বিচারপতি এইচএম প্রাচক মামলাটি শোনেন। আদালত অবমাননা সংক্রান্ত একটি মামলায় এই মন্তব্য করা হয়েছিল বলে খবর।
শুক্রবার গরুর মালিকদের সংগঠন অভিযোগ করেছিল খোঁয়াড়ে যে গরুগুলিকে রাখা হচ্ছে তাদের একেবারে যত্ন করা হয় না। ওই সংগঠনের তরফে আইনজীবী দাবি করেন, একেবারে গাদাগাদি করে গরুগুলিকে রাখা হয়। এমনকী তাঁর বক্তব্যের সাপেক্ষে তিনি ছবিও হাজির করেন।
তবে পুরসভার যে আইনজীবী ছিলেন তিনি দাবি করেন, প্রতি গরুকে পুজো করে তারপর আমরা রাখি। তাছাড়া খোঁয়াড়গুলিতে গাদাগাদি করে গরু রাখা হয় এই অভিযোগ ঠিক নয়।
বিচারপতি শাস্ত্রী জানিয়েছেন, ঠিকই গরুকে পুজো করা হয়। সেকারণে আগের শুনানিতে আমরা ওই পর্যবেক্ষণের কথা জানিয়েছিলাম।
এদিকে এর আগে গত ১২ ডিসেম্বর নাদিয়াদ শহরে গরুর মৃতদেহ জড়ো করে রাখা নিয়ে নানা কথা বলা হয়েছিল। এরপরই বিচারপতি জানিয়েছিলেন, এরকম যদি হয়ে থাকে তবে ভগবান পর্যন্ত আমাদের রক্ষা করবেন না। তিনি পর্যন্ত আমাদের ক্ষমা করবেন না। ওই অবলা জীবদের সঙ্গে এই ধরনের ব্যবহার করা ঠিক নয়।
এদিকে গোটা ইস্যুতে আদালত আগামী ৫ জানুয়ারি পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য্য করেছে। সেই সঙ্গে আদালত জানিয়েছে, এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার জন্য কঠোর ব্যবস্থা করা হবে। তার মধ্য়ে কাজ কতটা হল তা নিয়ে রিপোর্ট চেয়েছে আদালত।