দুটি বিমান দুর্ঘটনার মধ্যে ফারাক ছিল কয়েক মাইলের। আর দুটি থেকেই রেহাই পান যুগল। ঘটনা ইতালির তুরিনের। ২২ বছরের অ্যান্তোনিয়েত্তা দেমাসি ও ৩০ বছরের স্টেফানো পিরিল্লির দুর্ঘটনা থেকে প্রাণে বাঁচা যেন কোনও রূপকথার রুদ্ধশ্বাস পর্বের থেকে কম নয়!
ইতালির অ্যান্তোনিয়েত্তা দেমাসি ও স্টেফানো পিরিল্লি দুটি আলাদা বিমানে সফর করছিলেন। দুটি বিমানের মধ্যে ফারাক ছিল কয়েক মাইলের। প্রথমের পিরিল্লির বিমান দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। তার খানিক বাদেই দেমাসির বিমান পড়ে বিপত্তিতে। দুটি বিমানই একই দিনে কিছু সময়ের ফারাকে পড়ে দুর্ঘটনার কবলে। আর তার কিছুক্ষণের মধ্যেই বিমানের বাকি যাত্রীদের মতোই বিপাকে পড়েন পিরিল্লি ও দেমাসি। তবে তাঁরা দুজনেই প্রাণে বেঁচে যান। দেখা গিয়েছে, দুটি বিমানেই দেমাসি ও পিরিল্লি যেমন প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন, তেমনই আবার বিমানের পাইলটরাও বেঁচে গিয়েছেন। এমনই খবর প্রকাশ করেছে দ্যা ডেইলি মেল। প্রসঙ্গত, অ্যান্তোনিয়েত্তার এইটিই ছিল প্রথম বিমান সফর। আর সেই বিমান সফরেই ঘটে যায় এই কাণ্ড। পিরিল্লি বলছেন, তাঁদের দিনটি শুরু হয়েছিল, দারুন সুন্দরভাবে। তবে দিনের ছন্দপতন হয় ওই দুটি পৃথক দুর্ঘটনায়। বিমান যখন দুর্ঘটনায় ভেঙে পড়ে, আশপাশে মৃত্যু যন্ত্রণায় যখন সহযাত্রীরা কাতরাচ্ছেন, তখন মৃত্যু মুখ থেকে বেঁচে ফেরেন পিরিল্লি ও দেমাসি। জানা গিয়েছে, পিরিল্লি সেভাবে কোনও আঘাতে আক্রান্ত হননি। আর দেমাসি আক্রান্ত হয়েছিলেন। দেমাসি কোমরের দিকে চোট পান।
পিরিল্লি ওই ঘটনার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, তিনি যে মৃত্যুমুখে পতিত হননি, তার জন্য তিনি ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জানাতে চান। আপাতত পিরিল্লি চান, তাঁর গার্লফ্রেন্ড ও পাইলট যেন সুস্থ হয়ে ফেরেন। এই বিমান দুর্ঘটনা নিয়ে পিরিল্লি বললেন, ‘আমরা আবহাওয়া এবং সময় সম্পর্কে খারাপ হয়ে পড়েছিলাম - তাপমাত্রা কমে যাওয়ার সাথে সাথে কুয়াশা উঠতে শুরু করে এবং তারপরে হঠাৎ যেন রাত হয়ে যায়।’