অসমের মুখ্য়মন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। সম্প্রতি তিনি একটি পোস্ট করেছিলেন। পরে সেটা মুছেও দেন। সেখানে তিনি লিখেছিলেন, ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয় আর বৈশ্যদের সেবা করা হল শূদ্রদের স্বাভাবিক কর্তব্য। এরপরই এনিয়ে হইচই ফেলে দেন বিরোধীরা। তাদের দাবি, বিজেপি আসলে মনুবাদী ভাবনাকে সামনে আনতে চাইছে।এরপরই আসরে নেমে পড়েন মিম প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়াইসি। তিনি বলেন, অসমের মুসলিমদের গত কয়েক বছর ধরে কী পরিমাণ যন্ত্রণা সহ্য করতে হয়েছে সেটা এই পোস্টের মাধ্য়মেই বোঝা যাচ্ছে।
তবে এই বিতর্কের পরেই বৃহস্পতিবার এনিয়ে ক্ষমা চান হিমন্ত বিশ্বশর্মা। তিনি জানিয়েছেন, ভগবত গীতার এটা একটা ভুল অনুবাদ করা হচ্ছে। এটা দেখার পরেই আমি পোস্টটি মুছে দিয়েছি। অসমে জাতিগত ভেদাভেদ নেই। মহাপুরুষ শ্রীমন্ত শঙ্করদেব যে আদর্শের কথা বলেছিলেন সেটাই প্রতিফলিত হয়েছে অসমে।
সেই সঙ্গেই তিনি জানিয়েছেন, যে পোস্টটি মুছে দেওয়া হয়েছে তা যদি কাউকে আঘাত দিয়ে থাকে তাতে আমি ক্ষমা চাইছি। তিনি জানিয়েছেন, রোজই আমি গীতার একটা শ্লোককে আমি আমার সোশ্য়াল মিডিয়ার হ্য়ান্ডেলে পোস্ট করি।
এদিকে হিমন্ত বিশ্বশর্মার আগের পোস্ট প্রসঙ্গে মিম প্রধান জানিয়েছেন, কৃষিকাজ করা, গো পালন করা, ব্যবসা করা এটা বৈশ্যদের কাজ। আর ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয় ও বৈশ্যদের সেবা করাটা শূদ্রদের স্বাভাবিক কর্তব্য।
এদিকে অসমের মুখ্য়মন্ত্রীর এই বক্তব্য প্রসঙ্গে কংগ্রেস নেতা পবন খেরা জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি কি ব্যাপারটার সঙ্গে একমত? যদি আপনি তার সম্পর্কে কোনও কথা বলেন তবে তিনি পুলিশ পাঠিয়ে দেন। কিন্তু এই ধরনের মন্তব্যকে মানা যায় না।
সিপিএম নেতৃত্বও এনিয়ে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তাদের দাবি, মনুবাদী ভাবনাকে আস্কারা দিচ্ছেন অসমের মুখ্য়মন্ত্রী।