সদ্যই অসমে চালু হয়েছে ‘মুখ্যমন্ত্রী আত্মনির্ভর অসম যোজনা’। এই প্রকল্পের মাধ্যমে নয়া স্বনির্ভর প্রকল্প চালু করেছে অসমের হিমন্ত বিশ্বশর্মা সরকার। সেরাজ্যের যুব সমাজকে নজরে এনে এই পদক্ষেপ সরকারের। এই প্রকল্পের জেরে স্বনির্ভরতা ও স্বয়ংসম্পূর্ণতার পথে যাতে অসমের যুবকরা হাঁটতে পারে, সেই লক্ষ্যের কথা জানিয়েছে সরকার। একইসঙ্গে গুয়াহাটিতে এক অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা জানিয়েছেন, অসমে ২.২ লাখ মহিলার ঋণ মুকুব করছে সরকার, যে মহিলারা তাঁদের ক্ষুদ্র ঋণ প্রদান করতে অসমর্থ হয়েছেন, তাঁরা রাজ্য সরকারের প্রকল্পের আওতায় সুবিধা পাবেন।
অসমে ২.২ লাখ মহিলার ঋণ মুকুবের ঘটনা নিঃসন্দেহে বড় বিষয়। এই ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই হিমন্ত বিশ্বশর্মা মনে করিয়ে দেন যে, ২ বছর আগে অসমে ভোটের আগে বিজেপি যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তা এখন পূরণ করা হচ্ছে। হিমন্ত বলেন, ‘মিডিয়ার একটা অংশ বলছে, আমরা ভোটের প্রতিশ্রুতি থেকে পিছিয়ে এসেছি, আমি স্পষ্ট করতে চাই যে আমরা ২ বছর আগে ভোটের আগে দেওয়া প্রতিশ্রুতি পালন করছি।’ তিনি জানান, ২০২১ সালের ৩১ মার্চের আগে যে ঋণ গুলি নন-পারফরমিং হয়েছিল সেই ঋণ গ্রহীতারা (২.২ লাখ মহিলা) এবারে ঋণ থেকে মুক্তি পাবেন। হিমন্ত জানান, ‘অসম মাইক্রোফিনানন্স ইনিশিয়েটিভ অ্যান্ড রিলিফ স্কিম’ এর আওতায় তাঁর সরকার ঋণ দাতাদের (ক্ষুদ্রঋণদানকারী প্রতিষ্ঠান)কে ২৯১ কোটির ক্ষতিপূরণ দেবে। অসম সরকারের এই পদক্ষেপ ২.২ লাখ মহিলাকে সুবিধা দেবে ঋণ মুকুবের ক্ষেত্রে।
প্রসঙ্গত, সংসদে যখন মহিলা সংরক্ষণ বিল যাঁর নাম ‘নারী শক্তি বন্ধন অধিনিয়ম’ বিল পাশ হয়েছে, তখনই অসমে এই বড় ঘোষণা নিঃসন্দেহে রাজনৈতিক তাৎপর্যপূর্ণ। উল্লেখ্য, নয়া সংসদভবনের অধিবেশনে রাজ্যসভা ও লোকসভা, দুই কক্ষেই পাশ হয়ে গিয়েছে এই বিল। তবে এই বিল কবে লাগু হবে, তা নিয়ে রয়েছে জল্পনা। যদিও কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী মেঘাওয়াল বলছেন, এই বিল পাশ হবে ২০২৬ সালের পর কোনও এক সময়ে। প্রসঙ্গত, অসমে হিমন্ত সরকার ২০২১ সালের অগস্টে রাজ্যের অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল মহিলাদের দ্বারা নেওয়া ক্ষুদ্র-অর্থায়ন ঋণ ক্ষতিপূরণ এবং মুকুব করার জন্য ৩৮টি ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠান এবং ব্যাঙ্কের সাথে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করেছে।
্