রাজ্যপালের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থা ও শ্লীলতাহানির অভিযোগে তাঁর সম্মানহানী হয়েছে। এই অভিযোগের বিরুদ্ধে দায়ের করা জনস্বার্থ মামলা ফেরাল কলকাতা হাইকোর্ট। প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের বেঞ্চে বলেছে, ‘এই নিয়ে জনস্বার্থ মামলা হয় না’।
আবেদনকারীর বক্তব্য, সংবিধান অনুযায়ী রাজ্যপালের নিজস্ব রক্ষা কবচ রয়েছে। তা সত্ত্বেও পুলিশ তাঁকে নিয়ে বিভিন্ন মন্তব্য করছে। বিনা প্রমাণে তাঁর সম্মানহানি করা হচ্ছে। আবেদনকারীর আইনজীবী আদালতে বলেন, কোনও অভিযোগ প্রমাণ না হওয়া সত্ত্বেও রাজনৈতিক নেতাদের এ নিয়ে কোনও ধরনের মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকার জন্য নির্দেশ দিক আদালত।
আরও পড়ুন। ঢাকা থাকল সত্য? সিসি ফুটেজে অভিযোগকারিণীকে দেখাল রাজভবন! কী বললেন তরুণী?
এ নিয়ে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম সাফ জানিয়ে দেন, এ নিয়ে কোনও জনস্বার্থ মামলা হয় না। তাই আদালত কোনও ভাবেই বিষয়টি নিয়ে হস্তক্ষেপ করবে না।
গত ২ মে রাজভবনের এক অস্থায়ী কর্মী রাজ্যপালের বিরুদ্ধে শ্লীনতাহানীর অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু রাজভবন থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, এই অভিযোগ সত্য নয়। যেহেতু রাজ্যপাল সংবিধানিক রক্ষাকবচ পান তাই তাঁর বিরুদ্ধে পুলিশ কোনও তদন্ত শুরু করতে পারবে না। এই পরিস্থিতিতে মহিলা কর্মীর অভিযোগের তদন্ত কী ভাবে এগুনো সম্ভব হবে তা নিয়ে ধন্দে পড়েছে পুলিশ।
আরও পড়ুন। সামনে এল রাজভবনের সিসি ফুটেজ, কী আছে তাতে? ওসির ঘরে ঢুকলেন মহিলা তারপর কী হল…
এই পরিস্থিতিতে ব্যক্তি রাজ্যপাল নয়, রাজভবনে কী ঘটেছিল তার তদন্ত শুরু করে পুলিশ। সিসিটিভি ফুটেও চাওয়া হয়। কিন্তু তা পাওয়া যায়নি।
এরই মধ্য রাজভবন থেকে বলা হয় সিসিটিভ ফুটে তারা পুলিশ বা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখতে দেবে না। সাধারণ মানুষকে দেখানো হবে এই ফুটেজ। এর বৃহস্পতিবার সেই ফুটেজ প্রকাশ্যে আনা হয়। ১ ঘণ্টা ১৯ মিনিটের ফুটেজ দেখানো হয় সাংবাদিকদেরও। ফুটেজে অভিযোগকারিণীকেও দেখা যায়।
রাজ্যপালের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠার পর থেকেই রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে। রাজ্যের শাসক দল এই ইস্যুতে রাজ্যপালকে নিশানা করেছে। পুলিশের বিভিন্ন মন্তব্যকে ঘিরে জনস্বার্থ মামলা করেন এক আইনজীবী। মামলাটি খারিজ করে দিয়েছে আদালত।
আরও পড়ুন। মমতা আর পুলিশ ছাড়া বঙ্গবাসীকে রাজভবনের সিসি ফুটেজ দেবেন বোস, কীভাবে পাবেন এটা?