ভারতের সামনে প্রচুর সুযোগ আছে। প্রয়োজন রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার। সঙ্গে সরকারের নিয়ন্ত্রণ কম করে অর্থনীতিকে মুক্ত তুলতে হবে। এমনটাই জানালেন অর্থনীতিবিদ তথা হোয়াইট হাউসের ন্যাশনাল ইকোনমিক কাউন্সিলের প্রাক্তন অধিকর্তা (২০০৯-১০) লরেন্স সামার্স।
‘হিন্দুস্তান টাইমস লিডারশিপ সামিটে’ প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ সামার্স বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরেই আমি ভারতীয় অর্থনীতির হয়ে সওয়াল করে আসছি। আমার বিশ্বাস, আইনের শাসন, উদ্যোক্তাদের উৎসাহ এবং দক্ষতা, ডিজিটাল প্রযুক্তির সুযোগ-সুবিধা, অসামান্য ভারতীয় বংশোদ্ভূতের মতো বিষয়গুলি অর্থনীতি শক্তিশালী হওয়ার ক্ষেত্রে সাহায্য করবে।’ তাঁর মতে, চিনের থেকে ভারতের আয়ের স্তর কিছুটা কম হওয়ার বিষয়টিও ভারতের পক্ষে যাবে।
হোয়াইট হাউসের ন্যাশনাল ইকোনমিক কাউন্সিলের প্রাক্তন অধিকর্তা জানান, ১৫ বছরের মধ্যে আরও বেশি আর্থিক বৃদ্ধির সাক্ষী থাকতে পারে ভারত। সেজন্য এমন সরকারের প্রয়োজন, যা নিজেদের নিয়ন্ত্রণ থেকে অর্থনীতিকে মুক্ত করবে। তিনি যোগ করেন, ‘রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার প্রয়োজন আছে। আমি নিশ্চিত নই যে ১০-১৫ বছর আগে যে চ্যালেঞ্জগুলি ছিল, সেগুলি সামলানোর বিষয়ে ভারতের উপর কতটা ভরসা করবে মিত্র দেশগুলি।’
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার ভারতের যে জিডিপির পরিসংখ্যান করা হয়েছে, তাতে করোনাভাইরাসের ধাক্কা সামলে ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিচ্ছে অর্থনীতি। গত অর্থবর্ষের তুলনায় এই অর্থবর্ষের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে দেশের বৃদ্ধির হার অনেকটাই বেশি। জুলাই-সেপ্টেম্বর ত্রৈমাসিক জিডিপি বৃদ্ধির হার বেড়ে হয়েছে ৮.৪ শতাংশ। মুখ্য অর্থনৈতিক উপদেষ্টা কে সুব্রমনিয়াম অবশ্য দাবি করেছেন, ক্রমবর্ধমান চাহিদা এবং একটি শক্তিশালী ব্যাঙ্কিং সেক্টরের সাহায্যে ভারতীয় অর্থনীতি ২০২১-২২ অর্থবর্ষে দুই সংখ্যার হারে বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। তিনি জানান, প্রাথমিক দ্বিতীয় প্রজন্মের সংস্কার এই দশকে দেশকে সাত শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধিতে সহায়তা করবে।